IQNA

আরসা সদস্যদের ধরিয়ে দিতে মুসলিমদের প্রতি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর আহ্বান

18:47 - September 03, 2017
সংবাদ: 2603742
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমার সেনাবাহিনী সেদেশের কথিত 'আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি'র (আরসা) সদস্যদের ধরিয়ে দিতে স্থানীয় মুসলিমদের সহযোগিতা চেয়েছে।

বার্তা সংস্থা ইকনা: মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চেক পোস্টে সন্দেহভাজন বিদ্রোহীদের হামলার প্রেক্ষিতে রাখাইন রাজ্যে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। এ পর্যন্ত সেই অভিযানে কয়েক শ’ নিরস্ত্র জনগণের হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। আর গত ৮ দিনে অভিযান চলাকালে ৭৩ হাজারের মতো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নাফ নদীতে নৌকাডুবিতেও বহু রোহিঙ্গা মারা গেছেন।

এ অবস্থায় কথিত বিদ্রোহীদের ধরিয়ে দিতে স্থানীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মংডু শহরে মাইকিং করা হয় বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের  রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র নিউ লাইট অব মিয়ানমার।  

পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘বিদ্রোহীদের দমনে গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনী প্রবেশ করলে স্থানীয়দের উসকানিমূলক আচরণ বা অস্ত্র প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।’ রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে মুঙ্গনিতে গ্রামবাসী দুজন আরসা সদস্যকে ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার তথ্যও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের জুলুম-নির্যাতন থেকে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসা আরও পাঁচ রোহিঙ্গা মুসলমানের মৃতদেহ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর হোয়াইক্যং পয়েন্ট থেকে পুলিশ এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত থেকে বিজিবি শনিবার গভীর রাতে লাশগুলো উদ্ধার করে।এ নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে গত তিনদিনে ৫৫ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার হলো।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) হাইকমিশনার ভিভান তান বলেন, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সহিংসতার মুখে  রাখাইন রাজ্য থেকে প্রায় ৭৩ হাজার রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়েছে। বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য নো ম্যান্স ল্যান্ডে এখনো হাজার হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, মিয়ানমার থেকে ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা আহত অবস্থায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছে।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, আরাকানে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে এবং তাদের বাড়ী-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পার্সটুডে
captcha