
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমামের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের হেদায়েত করা এবং সঠিক পথে পরিচালিত করা। ইমাম মাহদী(আ.) ইমাম হুসাইনের প্রতি জুলুম হয়েছে তার প্রতিশোধ নিবেন। এবং তার প্রথম আহ্বান হবে হে বিশ্ববাসী আমার দাদা হুসাইনকে মজলুম ও পিপাসিত অবস্থায় শহীদ করা হয়েছে।
ثارالله শব্দটির বিভিন্ন অর্থ রয়েছে যার প্রতিটিরই আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা রয়েছে,যেগুলোর সামগ্রিক অর্থ হল যে,আল্লাহ তা‘আলা ইমাম হোসাইন (আ.)-এর রক্তের অভিভাবক এবং তিনি নিজেই শত্রুদের থেকে এই মহান ব্যক্তির রক্তের বদলা নিতে চান। কেননা,কারবালায় সাইয়্যেদুশ শুহাদার রক্ত ঝরানো মহান আল্লাহর নিষিদ্ধের সীমা লঙ্ঘন,তাঁর সম্মান বিনষ্ট করা এবং তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করার শামিল। সর্বোপরি আহলে বাইত (আ.) হচ্ছেন ‘আলুল্লাহ্’ অর্থাৎ আল্লাহর মনোনীত ও বিশেষজন; এই ইমামদের রক্ত ঝরানোর অর্থ আল্লাহ তা‘আলার কাছে সম্মানিত ও তাঁর প্রিয়তম ব্যক্তিদের রক্ত ঝরানো।(মুহাদ্দেছি, জাওয়াদ, দারস্হাঈ আজ যিয়ারতে আশুরা, পৃ. ১৪; আজিজি তেহরানি, আসগার; শারহে যিয়ারতে আশুরা পৃ. ৩৫।)
আল্লাহ্ বলেছেন: وَمَنْ قُتِلَ مَظْلُومًا فَقَدْ جَعَلْنَا لِوَلِيِّهِ سُلْطَانًا
যে অন্যায়ভাবে নিহত হয় নিশ্চয় আমরা তার উত্তরাধিকারীকে (প্রতিশোধ গ্রহণের) অধিকার দান করেছি। (সূরা বনি ইসরাঈল- ৩৩)
যদি কেউ (যে কোন ধর্মের অনুসারী হোক) অন্যায় ও মযলুমভাবে নিহত হয় তাহলে তার অভিভাবকরা তার রক্তপণ আদায়ের অধিকার রাখে। যেহেতু আহলে বাইতের ইমামগণ বিশেষ করে ইমাম হুসাইন (আ.) সত্য,ন্যায় এবং আল্লাহর পথে অসহায় ও মযলুমভাবে শহীদ হয়েছেন,সেহেতু আল্লাহ নিজেই তাঁর রক্তের প্রতিশোধ গ্রহণকারী। কেননা,স্বয়ং আল্লাহ্ই ইমাম হুসাইনের রক্তের উত্তরাধিকারী।
যতদিন ইমাম হুসাইনের স্মৃতি জাগ্রত থাকবে, তাঁর নাম মানুষের মুখে মুখে ধ্বনিত হবে, হুসাইনপ্রীতি মানুষের অন্তরে অন্তরে স্পন্দিত হবে,তাঁর বেলায়াত ও প্রেমের শিখা মানুষের হৃদয়ে প্রজ্বলিত থাকবে,‘ইয়া হুসাইন’ আহাজারি আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হবে ততদিন আল্লাহর স্মরণ ও আল্লাহর নাম টিকে থাকবে।
কেননা, তিনি তাঁর সর্বস্ব আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দিয়েছেন,উৎসর্গ করেছেন। সত্যকে বিচ্যুতকারী মুনাফিকদের কুৎসিত চেহারা থেকে মুখোশ খুলে দিয়েছেন এবং মহানবীর খাঁটি ও প্রকৃত ইসলামকে মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন। আর তাই তাঁর রক্ত আল্লাহর রক্তের মর্যাদা পেয়েছে।