বার্তা সংস্থা ইকনা:কৃপণতা হচ্ছে মানুষের জন্য জঘণ্যতম ও বর্জনীয় বৈশিষ্ট্য; ইসলামে এ নেতিবাচক ও ক্ষতিকর বৈশিষ্ট্য পরিহার করতে সকলের প্রতি কঠোর আদেশ দেয়া হয়েছে। কেননা কৃপণতার কারণে মানুষ নানাবিধ অপছন্দনীয় ও নিন্দনীয় কর্মে লিপ্ত হতে পারে।
পবিত্র কুরআনের সূরা নিসার ৩৭ নং আয়াতে কৃপণতার পরিহারের আদেশ দিয়ে বলা হয়েছে,
«الَّذِينَ يَبْخَلُونَ وَ يَأْمُرُونَ النّاسَ بِالْبُخْلِ وَ يَكْتُمُونَ ما آتَاهُمُ اللّه مِنْ فَضْلِهِ وَ أَعْتَدْنا لِلْكَافِرِينَ عَذَابا مُهِينا»
অর্থাৎ যারা স্বয়ং কৃপণতা করে এবং অপরকেও কৃপণতার আদেশ দেয় এবং যে ধনসম্পদ আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের দান করেছেন তা গোপন করে, আর আমরা অবিশ্বাসীদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত রেখেছি।
আমিরুল মু’মিনিন আলী (আ.) বলেছেন যে, কৃপণ ব্যক্তির সাথে উঠাবসা মানুষকে লাঞ্চিত ও অপমানিত করে এবং কৃপণ ব্যক্তি থেকে দূরত্ব বজায় রাখা সম্মান বৃদ্ধির কারণ হয়।
ইমাম রেজা (আ.) কৃপণতা পরিহারের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন যে, কৃপণতা সম্মানহানির কারণ হয়। সূত্র: মিজানুল হিকমাহ গ্রন্থ