IQNA

ভুয়া ছবি দিয়ে রোহিঙ্গা বিরোধী প্রচারণায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী

23:45 - September 01, 2018
সংবাদ: 2606602
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রোহিঙ্গা বিদ্বেষ ছড়াতে নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও ভয়াবহ প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত এ বাহিনী তাদের অপকর্মকে বৈধতা দিতে কিছু ঐতিহাসিক ছবি ভুলভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সত্যকে বিকৃত করে বর্ণনা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বেদনাদায়ক একটি ছবিও। তাদের এ জালিয়াতি ধরা পড়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছে।

 

বার্তা সংস্থা ইকনা: রোহিঙ্গা সংকটের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার নামে গত জুনে একটি বই প্রকাশ করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রচার ইউনিট। এতে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে রাখাইনে অনুপ্রবেশকারী ও বৌদ্ধ হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে কিছু ছবি ব্যবহার করা হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বইয়ে ‘ডকুমেন্টারি ফটো’ হিসেবে ব্যবহৃত আটটি ছবির মধ্যে তিনটিই ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এর মধ্যে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে বৌদ্ধদের হত্যা করছে বোঝাতে এমন একটি ছবি দেওয়া হয়েছে, যেটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে অনুপ্রবেশ করছে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে তানজানিয়ার একটি ছবি।

একইভাবে রোহিঙ্গাদের রাখাইন ত্যাগের ছবি দিয়ে বলা হয়েছে। তারা বাংলাদেশ থেকে রাখাইনে ঢুকছে। ছবিগুলো সাদা-কালো ও ঝাপসা করে এবং দিক পাল্টে ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রোহিঙ্গারা রাখাইনে বসবাস করলেও মিয়ানমারে তাদের ‘বহিরাগত বাঙালি’ হিসেবে দেখা হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দফায় দফায় নৃশংস নির্যাতনে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

এর মধ্যে সর্বশেষ গত বছরের ২৫ আগস্টের পর প্রবেশ করে ৭ লাখের বেশি। গত সোমবার জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে মিয়ানমার সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ ৬ সামরিক কর্মকর্তার বিচার দাবি করা হয়। তবে দেশটির সামরিক-বেসামরিক কর্তৃপক্ষ সব সময়ই রোহিঙ্গা বিরোধী নৃশংসতা অস্বীকার করে এ নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে, যা জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনেও উঠে আসে।

iqna

captcha