মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বুধবার সৌদি আরবে সফর করেছে। পম্পেও টানা তিন দিন সৌদি আরবে অবস্থান করবে। এ সফরকালে তিনি সৌদি রাজা সালমান, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিনা ফারহানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করবে বলে কথা রয়েছে।
এসব সাক্ষাতে নিরাপত্তা ও সামরিক ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করা ছাড়াও তাদের ভাষায় ইরানের পক্ষ থেকে কথিত হুমকি মোকাবেলার বিষয়টিও প্রাধান্য পাবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ পর্যন্ত বহুবার সৌদি আরব সফর করেছেন যার প্রধান লক্ষ্যই ছিল ইসলামি ইরানকে মোকাবেলার উপায় খুঁজে বের করা। মাইক পম্পেও বলেছে, সৌদি আরবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ইরানকে মোকাবেলার উপায় খুঁজে বের করার জন্যই রিয়াদে সফর করেছে।
পম্পেও পূর্বের দাবির পুনরাবৃত্তি করে বলেছে, 'আমরা যেকোনো জায়গায় ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছি কিন্তু ইরানকে অবশ্যই তার আচরণ পরিবর্তন করতে হবে আর দেশটির ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির চেষ্টাও অব্যাহত থাকবে।'
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন সবসময়ই সৌদি সরকারকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। কারণ রিয়াদ হচ্ছে, পশ্চিম এশিয়ায় ওয়াশিংটনের কৌশলগত প্রধান মিত্র দেশ এবং আমেরিকার কাছ তারাই সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনে থাকে। অর্থনৈতিক স্বার্থ ছাড়াও সৌদি আরবকে রাজনৈতিক ও সামরিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে আমেরিকা।
ইয়েমেনের যোদ্ধারা সৌদি তেল ক্ষেত্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদির প্রতি সমর্থন বাড়িয়ে দিলেও নিরাপত্তা দেয়ার বিনিময়ে তিনি অতিরিক্ত অর্থ দাবি করছেন। এর পাশাপাশি তিনি ঐ হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন এবং ইরানভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন।
পর্যবেক্ষকরা আরও বলছেন, রিয়াদের প্রতি ওয়াশিংটনের সর্বাত্মক সাহায্য সমর্থন সত্বেও এবং সৌদি আরব আমেরিকার কাছ থেকে কোটি কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র কিনলেও ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এবারের সৌদি আরব সফরের ফলাফল কি দাঁড়ায় সেটাই এখন দেখার বিষয়। iqna