এর আগে স্থানীয়দের ব্যাপক সমালোচনার মুখে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের ঘটনায় ক্ষমা চান পেনাং পুলিশ প্রধান। এদিকে এ ঘটনায় দোষীদের কোনো ছাড় নেই উল্লেখ করে প্রয়োজনে আইন-ভঙ্গকারী অভিবাসীদের দেশে পাঠানো হবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জয়নুদ্দিন।
মঙ্গলবার (২০ জুন) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় মসজিদে নামাজ আদায় করতে গেলে কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে একশ মানুষকে নামাজ আদায়ের জন্য প্রবেশের অনুমতি দেয়। এসময় মসজিদে প্রবেশ করতে পারেননি এমন দুই শতাধিক মানুষ মসজিদের বাইরে ঈদের নামাজ আদায় করে, যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি।
সরকারের আইন ভেঙে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নামাজ আদায়ের এ দৃশ্যের ভিডিও স্থানীয় একজন নাগরিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপলোড করলে দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা, নজরে আসে প্রশাসনের।
ঘটনার পর স্থানীয় নাগরিকদের অভিযোগ, কাজের স্থানে না থেকে ঐ এলাকার ২৩টি ব্লকে ৮ হাজারেরও বেশি অভিবাসী অবস্থান করছে।
উল্লেখ্য, করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর অবস্থানে মালয়েশিয়া। দেশজুড়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন, জেল-জরিমানা করা হচ্ছে আইন-ভঙ্গকারীদের। এ পরিস্থিতিতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে ঈদের নামাজ আদায়ের এ ঘটনায় দারুণভাবে সমালোচনায় পড়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আরটিভি