IQNA

জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের রেড লাইন

22:00 - September 28, 2022
সংবাদ: 3472546
তেহরান (ইকনা): হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি জনগণের সাথে তার সপ্তম লাইভ টেলিভিশন সাক্ষাতকারে “প্রতিবাদ এবং অশান্তির মধ্যবর্তী রেখাকে সংজ্ঞায়িত করা উচিত”-এর উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন: জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের রেড লাইন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বুধবার ২৮শে সেপ্টেম্বর রাতে জনগণের সাথে তার ৭ম লাইভ টেলিভিশন সাক্ষাতকারে আব্বা আবদুল্লাহ আল-হুসাইন (আ.) এবং ইমাম রেজা (আ.)-এর পবিত্র মাযারে লক্ষাধিক যায়ের (জিয়ারতকারী) ও শোকাহতদের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন: ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের আরবাইন উপলক্ষে শুধুমাত্র ইরান থেকে প্রায় ৩৫ লাখের উপর মানুষ কারবালায় গিয়েছেন এবং মোট ২ কোটিরও বেশি জিয়ারতকারী কারবালায় উপস্থিত হয়ে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। মাশহাদে ইমাম রেজা (আ.)-এর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ইরান ও ইরাক সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে সাড়ে চার মিলিয়নেরও বেশি জিয়ারতকারী উপস্থিতি হয়েছেন। এটি আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি জনগণের ভালোবাসার নিদর্শন এবং সরকারের দায়িত্ব ছিল জনগণকে আরও ভালোভাবে সেবা করা। অবশ্যই, স্বয়ং জনগণই এর আয়োজন করেছে এবং আমি ইরাকের জনগণকে তাদের ভাল আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই এবং আমি মাশহাদের জনগণের কাছেও অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। এমন জনগণ থাকার জন্য আমাদের সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত।
উজবেকিস্তানে ইরানের উপস্থিতি এবং সাংহাই সহযোগিতা সংস্থায় ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সুনির্দিষ্ট সদস্যপদ থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন: সাংহাইয়ে সদস্যপদ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই সংস্থাটি বিশ্বের অর্থনীতির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বরাদ্দ করেছে এবং সদস্য দেশ রয়েছে যাদের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অবস্থা উল্লেখযোগ্য এবং এতে ইরানের সদস্যপদ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
 
ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনার ব্যাপারে তার দেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিপক্ষ আবার এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাবে না বলে শক্তিশালী গ্যারান্টি দিলেই এটি আবার চালু করার ব্যাপারে একটি ভালো ও স্বচ্ছ চুক্তি করা সম্ভব।
রায়িসি বলেন, তিনি জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে সাম্প্রতিক নিউ ইয়র্ক সফরের সময় একথা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ইরানকে পরমাণু সমঝোতার আর্থিক সুবিধা ভোগ করার সুযোগ এবং এই সমঝোতা থেকে আমেরিকা আরেকবার বেরিয়ে যাবে না বলে শক্তিশালী গ্যারান্টি দিতে হবে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে ২০১৮ সালে আমেরিকা একতরফাভাব বেরিয়ে যাওয়ার পর এটি নিয়ে চলমান অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। আমেরিকা যেনতেন একটি চুক্তি সই করে ওই সমঝোতা আবার চালু করতে চাইলেও তেহরান প্রয়োজনীয় গ্যারান্টি ছাড়া কোনো চুক্তি সই করতে নারাজ। 4088524
 
captcha