
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অঙ্গহানি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২৫ শতাংশ শিশু এবং ১২.৭ শতাংশ নারী।
চিকিৎসা সরঞ্জাম, পুনর্বাসন কেন্দ্রের অভাব এবং সহায়ক ডিভাইস না থাকার কারণে অঙ্গহানি হওয়া মানুষদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাচ্ছে, যা তাদের পরিবারগুলোকেও গভীর মানবিক সংকটে ফেলেছে।
মন্ত্রণালয় জানায়— বিশেষ করে অল্প বয়সে স্থায়ী প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত হওয়া শিশুদের জন্য মানসিক ও সামাজিক সহায়তাসহ পূর্ণাঙ্গ রিহ্যাবিলিটেশন সেবার জরুরি প্রয়োজন রয়েছে।
সংস্থাটি আন্তর্জাতিক মানবিক ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ ও সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে, যাতে গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সহায়তা প্রদান করা যায়।
◼ সর্বশেষ যুদ্ধ-হতাহতের পরিসংখ্যান
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বিবৃতিতে বলা হয়েছে— গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জন শহীদ এবং ১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ছাড়া এখনো বহু মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় আটকে রয়েছে— উদ্ধারকারী দলগুলো পৌঁছাতে পারছে না।
১১ অক্টোবর ২০২৫-এ ঘোষিত যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট শহীদ — ২৪৫ জন, মোট আহত — ৬২৩ জন এবং ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধারকৃত মৃতদেহর সংখ্যা ৫২৯।
৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া গণহত্যামূলক ইসরায়েলি যুদ্ধের সামগ্রিক পরিসংখ্যান মোট শহীদ — ৬৯,১৮২ জন এবং মোট আহত — ১,৭০,৬৯৪ জন।
সংক্রমিত যুদ্ধ, চিকিৎসা সংকট এবং পুনর্বাসন সুবিধার অনুপস্থিতিতে গাজায় মানবিক বিপর্যয় নতুন মাত্রা পাচ্ছে। 4316467#