
ইকনা সংবাদ সংস্থা ইরাকি নিউজ এজেন্সি (ওয়াআ)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই আল-সুদানি পবিত্র কাজিমাইন শহরে যান এবং সেখানে ইমামদ্বয়ের পবিত্র দরবারে জিয়ারত সম্পন্ন করেন।
ইরাকি গণমাধ্যম আরও জানায়, আল-সুদানি বাগদাদের আজমিয়াহ এলাকায় অবস্থিত মসজিদে আবু হানিফা নোমান-এর মাজারও জিয়ারত করেন।
এদিকে বুধবার রাতে ইরাকের উচ্চ নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করে। এতে দেখা যায়, আল-সুদানির নেতৃত্বাধীন ই’মার ও তানমিয়া (পুনর্গঠন ও উন্নয়ন) জোট সর্বাধিক আসনে এগিয়ে রয়েছে। ফল প্রকাশের পর তিনি নতুন সরকার গঠনে আলোচনা শুরু করার প্রস্তুতির কথা জানান।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন—
"ই’মার ও তানমিয়া জোট প্রথম স্থান অর্জন করেছে। আমরা দ্রুতই একটি কার্যকর সরকার গঠনের জন্য আলোচনা শুরু করবো।"
তিনি আরও জানান, তাদের জোট সব রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীকে স্বাগত জানাবে এবং নির্বাচনে অংশ না নেওয়া নাগরিকসহ সকল ইরাকি জনগণের স্বার্থ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রাথমিক ফল অনুযায়ী: ই’মার ও তানমিয়া জোট – ৪৬ আসন, দাওলাতুল কানুন – ৩০ আসন, আসাইব আহলুল হক (সাদিকুন) – ২৭ আসন, বদর অর্গানাইজেশন – ১৮ আসন, এছাড়া আরও কয়েকটি শিয়া রাজনৈতিক দল পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে।
এই ফলাফলে স্পষ্ট হয়েছে যে শিয়া জোটগুলো সংসদে প্রভাবশালী অবস্থানে থাকবে, যা ভবিষ্যৎ সরকারকে আরও শক্তিশালী ও সমন্বিতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ করে দেবে—দেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে। 4316581#