প্রেসিডেন্ট রুহানি আরও বলেন, ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা সই হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে সব ক্ষেত্রে সম্পর্ক উন্নয়নের উপযুক্ত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং উভয় দেশেরই উচিত এ সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করা। তিনি বলেন- অর্থনেতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রসহ সব অঙ্গনেই সম্পর্ক জোরদারের জন্য ইরান প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা যেতে পারে এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ইরান তার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে। এছাড়া, প্রকৌশল, কারিগরী ও পর্যটন খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। খুব শিগগিরই দুই দেশ সম্পর্ক আরও জোরদারের জন্য পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট রুহানি।
এ সময় বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত এ কে এম মজিবুর রহমান ভূঁঞা দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনেতিক, বাণিজ্য ও অবকাঠামো ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানান। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত। রেডিও তেহরানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছেন, "বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট রুহানি অত্যন্ত আন্তরিক। বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের বিদ্যমান সম্পর্কের বিষয়েও তিনি সন্তুষ্ট।" বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, "ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. রুহানি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদকে সালাম জানিয়েছেন।"