IQNA

ইরানে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হল বিশ্ব কুদস দিবস + ছবি

15:48 - July 01, 2016
সংবাদ: 2601101
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রমযানের শেষ শুক্রবার বিশ্ব আলকুদস দিবস। ইহুদিবাদী ইসরাইলের স্বরূপ তুলে ধরে ঐক্যবদ্ধ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানোর দিবস। আল কুদস মুক্তির লক্ষ্যে সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের একতাবদ্ধ হবার দিবস।

বার্তা সংস্থা ইকনা: ইসরাইলের পতন কামনার দিবস। এই দিবস এলেই থরথর করে কাঁপে ইসরাইল। এই দিবস এলেই ইসরাইলের অবৈধ সত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায়। আসুন আমরা সবাই ইসলামের পরম শত্রু ইসরাইলের পতন কামনা করে সমস্বরে বলি: অবৈধ ইসরাইল নিপাত যাক। আল কুদস মুক্তি পাক

ইসরাইলের পতন কামনার দিবস। এই দিবস এলেই থরথর করে কাঁপে ইসরাইল। এই দিবস এলেই ইসরাইলের অবৈধ সত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায়। আসুন আমরা সবাই ইসলামের পরম শত্রু ইসরাইলের পতন কামনা করে সমস্বরে বলি: অবৈধ ইসরাইল নিপাত যাক। আল কুদস মুক্তি পাক

মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম বিশ্ব গত কয়েক দশক ধরে একটা মারাত্মক সংকট মোকাবেলা করে যাচ্ছে। সংকটটা হলো মুসলমানদের অত্যন্ত প্রিয় এবং পবিত্র স্থান বায়তুল মোকাদ্দাসকে রাহুর মতো গ্রাস করে আছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। তারা অবৈধ দখলদারিত্ব বজায় রেখে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড এবং সেখানকার মুসলমানদের ওপর নির্বিচারে জুলুম অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। আর তারই প্রতিবাদে পবিত্র রমযানের শেষ শুক্রবার বিশ্ব আলকুদস দিবস পালিত হয়ে আসছে।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানসহ সারা বিশ্বে বিক্ষোভ মিছিলের মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক কুদস দিবস পালিত হয়েছে। এসব বিক্ষোভ-মিছিলে লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়ে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়েছে এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদারিত্ব ও বর্বরতার নিন্দা জানিয়েছে।

ইসলামি প্রচারণা সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে ইরানের প্রধান সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী তেহরানে। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হয় র‍্যালি। তেহরানে ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা উপেক্ষা করে মুসলমানদের পাশাপাশি ইরানের ইহুদিসহ সংখ্যালঘু অন্য সম্প্রদায়ের লোকজনও এ সমাবেশে অংশ নেয়। রাজধানী তেহরান ছাড়াও ইরানের ৮৫০টি শহরে কুদস দিবসের মিছিল হয়েছে।

আজকের মিছিলে অংশ নিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ, ইরানের নীতি নির্ধারণী পরিষদের প্রধান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আকবর হাশেমি রাফসানজানি, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. আলী লারিজানি, বিচার বিভাগের প্রধান আয়াতুল্লাহ সাদেক আমোলি-লারিজানি এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রহিম সাফাভিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

সমাবেশে অংশ নিয়ে প্রেসিডেন্ট রুহানি সাংবাদিকদের বলেন, ইরানি জনগণের পক্ষ থেকে এই বার্তা দেয়া হচ্ছে যে, ফিলিস্তিনি জনগণ একা নয়; ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা একা নয়। তিনি পরিষ্কার করে বলেন, ইসরাইল হচ্ছে আমেরিকা ও আন্তর্জাতিক বলদর্পী শক্তির আঞ্চলিক ঘাঁটি; তারা কোনো নিয়মনীতি ও আইন-কানুনের তোয়াক্কা করে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ বলেন, আজকের সমাবেশে অংশ নিয়ে ইরানের জনগণ বিশ্ববাসীকে এই বার্তা দিচ্ছে যে, তারা ইসরাইলি দখলদারিত্ব কখনো ক্ষমা করবে না। মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্ব মুসলিম ইহুদিবাদী ইসরাইলকে সারা বিশ্বের শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য প্রধান হুমকি বলে মনে করে।

সমাবেশ শেষে চূড়ান্ত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে-অধিকৃত ভূখণ্ডের ওপর ইসরাইলি দখলদারিত্ব থাকা পর্যন্ত মুসলমানদের প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন মুসলিম দেশে উগ্র সালাফি ও তাকফিরিদিরে বর্বরতা এবং প্রক্সিযুদ্ধের নিন্দা জানানো হয়েছে এ বিবৃতিতে।#


iqna


captcha