এ অনুষ্ঠানে নাজাফ আশরাফের হাওজা ইলমিয়ার আলেম ও ছাত্ররা, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা, নাজাফ প্রদেশ পরিষদের প্রধান ও সদস্যরা, বিভিন্ন সেবামূলক ও নিরাপত্তা বিভাগীয় কর্মকর্তা, মুকেব ও হুসাইনি হায়াতের দায়িত্বশীলরা, নাজাফের সামাজিক–সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা, আস্তান–এ আলাভির ডেপুটি সেক্রেটারি–জেনারেল ও বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সদস্যরা, এই পবিত্র আস্থানার খাদেমরা এবং বিপুল সংখ্যক যিয়ারতকারী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় পবিত্র কোরআনের আয়াত তিলাওয়াতের মাধ্যমে, যা পাঠ করেন আস্তান–এ আলাভির কারি ও মুয়াজ্জিন সাইয়্যেদ হানি আল–মুসাভি। এরপর ইরাকি কারি মুস্তাফা আল–হুসাইনি রাসূলুল্লাহ (সা.) ও আমিরুল মুমিনিন ইমাম আলী (আ.)–এর যিয়ারতনামা তিলাওয়াত করেন।
পরে নাজাফ আশরাফ হাওজার আলেম হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ মুহাম্মদ সাদিক খুরসান বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)–এর মহান মর্যাদা এবং ইসলামে আমিরুল মুমিনিন ইমাম আলী (আ.)–এর ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন এবং নবী করিম (সা.)–এর ঐতিহ্যবাহী ওসিয়তের একটি দিক তুলে ধরেন, যেখানে তিনি সর্বদা ও সর্বত্র উত্তম নৈতিকতা ও মহৎ গুণাবলীর প্রতি অটল থাকার জন্য উম্মতকে আহ্বান জানিয়েছেন।
শোক ও সমবেদনার পতাকা উত্তোলনের এ অনুষ্ঠান মার্সিয়া পাঠের মাধ্যমে অব্যাহত থাকে, যা পবিত্র আঙ্গিনার পরিবেশকে শোকাভিভূত করে তোলে। এর পর রাসূলুল্লাহ, খাতামুন নাবীয়িন, হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা.)–এর ওফাতের বার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানটি পবিত্র রওজার আঙ্গিনায় হুজ্জাতুল ইসলাম শাইখ আহমদ রুবাইয়ি ও বিপুল সংখ্যক যিয়ারতকারীর অংশগ্রহণে সমাপ্ত হয়।
এ আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানের কিছু ছবি প্রকাশ করা হল:
4301146