সফর মাসের শেষ দিনগুলো মিলে যায় রাসূল আকরাম (সা.)-এর ওফাত, ইমাম হাসান (আ.)-এর শাহাদাত এবং ইমাম রেজা (আ.)-এর শাহাদাতের সঙ্গে। এ প্রতিটি দিনই এ মহান ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে তাওসসুল ও সংযুক্তির প্রয়োজনীয়তা বোধ করায়। একই সঙ্গে সফরের শেষ দিনগুলো জুমার সঙ্গে মিলিত হওয়ায় এ সময়টি ইমাম মাহদী (আ.জ.)-এর সঙ্গে আরও বেশি তাওসসুলের জন্য বিশেষ সুযোগ তৈরি করে।
ইকনা-র রিপোর্ট অনুযায়ী আল-কাফিল থেকে: পবিত্র শহর কারবালা সফর মাসের শেষ জুমার রাতে ব্যাপক সংখ্যক যিয়ারতকারীর আগমন প্রত্যক্ষ করেছে। ইমাম হুসাইন (আ.) ও তাঁর ভাই আবুল ফজল আব্বাস (আ.)-এর পবিত্র রওজা মোবারক যিয়ারতের জন্য ইরাকের ভেতর থেকে এবং দেশ–বিদেশের লাখ লাখ জিয়ারতকারী এ শহরে উপস্থিত হয়েছেন।
সফর মাসের শেষ জুমার আমলসমূহ
জুমার দিনে “اللّهُمَّ صَلِّ عَلَی مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ و عَجّل فَرَجَهم” দরূদ–এর গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি বলে জোর দেওয়া হয়েছে। ইমাম সাদিক (আ.) বলেন, দরূদের এতই মূল্য রয়েছে যে, মাসুম ইমামগণ (আ.) প্রতিদিন হাজারবার নবী করিম (সা.) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের ওপর দরূদ পাঠ করতেন, কিন্তু জুমার দিনে এ সংখ্যা দশ হাজারে পৌঁছে দিতেন, যাতে আরও বেশি সওয়াব অর্জন করা যায়। সাধারণ শিয়া মুসলমান এবং দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ত মানুষদের জন্যও প্রতিদিন অন্তত ১০০ বার দরূদ পাঠ করা এবং জুমার দিনে ১০০০ বার দরূদ পাঠ করা বিশেষভাবে সুপারিশ করা হয়েছে।
“সদকা দেওয়া”, “اللّهُ اَكْبَر” এবং “لا إلهَ الَّا اللّه” যিকর করাও সফরের শেষ জুমায় গুরুত্বের সঙ্গে সুপারিশ করা হয়েছে। তাছাড়া, দুটি রাকাত নামাজ পড়া – প্রতিটি রাকাতে সূরা হামদ–এর পর সূরা আনআম তিলাওয়াত করা – অসীম সওয়াবের কারণ হয়। এ ছাড়া সফরের শেষ দিনগুলোতে রোযা রাখারও বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
নিচে কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.) ও হযরত আব্বাস (আ.)-এর রওজার জিয়ারতকারীদের আবহের কিছু ছবি দেওয়া হলো, সফর মাসের শেষ জুমার রাতে। 4301133