পার্সটুডের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনার রিপোর্ট: আগামী সাতদিনের মধ্যে এ নোটিশের জবাব না দিলে ধর্ম মন্ত্রনালয়ের সচিব, ইফার ডিজি শামীম মো. আফজালের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রিট আবেদন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী জুনু মুসলিম উম্মাহর পক্ষে সোমবার এ নোটিশটি পাঠান। নোটিশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারণ করে দেয়া জুমার নামাযের খুতবা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের শামিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই আইনজীবী অরো উল্লেখ করেন জুমার নামাজে মসজিদের ইমামরা যে খুতবা দিয়ে থাকেন তা ধর্মপ্রাণ মুসলমান গ্রহণ করে ইবাদত বন্দেগী পালন করে থাকেন।
ইমামদেরকে খুতবা নির্দিষ্ট করে দেয়া ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের শামিল।
কেন ইফা কর্তৃক এই নিয়ম আইনগতভাবে অবৈধ হবে না, এবং এটি কেন বাতিল করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে এ আইনি নোটিশে।
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর ইসলামিক ফাউন্ডেশন একটি অভিন্ন জুমা’র খুতবা নির্ধারণ করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশব্যাপী মসজিদগুলোতে সরবরাহ করে । গত ১৫ জুলাই শুক্রবারের জুমা’র নামাজে দেশের অধিকাংশ মসজিদে সে খুতবা পাঠ করা হয়।
জুম্মার নামাজে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক দেয়া খুতবা কোন মসজিদে না পড়লে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
ওদিকে গত শুক্রবার জুমার নামাজে ইসলামিক ফাউন্ডেশন নির্দেশিত খুতবা যথাযথভাবে পাঠ না করে, এর পরিবর্তে ‘উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য’ রাখার অভিযোগে সুন্দলপুর ইউনিয়নের বানদত্ত বাজার জামে মসজিদের পেশ ইমাম বেলাল হোসেনকে প্রেপ্তার করেছে কবিরহাট থানা পুলিশ। সুধারাম মডেল থানায় জুন মাসে দায়ের হওয়া একটি নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার আদালতের মাধ্যমে এই ইমামকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সরকারী খুতবা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক রেডিও তেহরানকে বলেন, প্রায় পনেরশ’ বছর ধরে অলেম ওলামারা যেভাবে খুতবা দিয়ে আসছিলেন তাতে মানুষের প্রতি সৎ উপদেশ দেয়া হয়, শান্তির বানী প্রচার করা হয়। হঠাৎ করে এর উপর উপর সরকারি হস্তক্ষেপ অলেম সমাজ মেনে নেবে না।
তিনি মনে করেন, জঙ্গীবাদ দমনে দল-মত নির্বিশেষে সকলের সাথে বসে সরকারকে উপায় বের করতে হবে। কেবল ধরপাকড় আর জুলুম নির্যাতন দিয়ে এটা বন্ধ করা যাবে না।
এদিকে গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কমিটির সদস্যরা। তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, সংসদীয় কমিটি কিংবা আলেম ওলামাদের মতামত না নিয়েই এ কাজটি করা হয়েছে। আগামীতে খুতবা তৈরির কাজে সংসদীয় কমিটির এমপিদের অন্তর্ভুক্ত করারও সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।#