পশু-পাখি ও জীব-জন্তু আল্লাহ তায়ালার অনন্য দান। আল্লাহ তায়ালা মানুষের খেদমতের জন্য এগুলো তৈরি করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِي آدَمَ وَحَمَلْنَاهُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنَاهُمْ مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيلًا ﴿۷۰﴾
নিঃসন্দেহে আমরা আদম-সন্তানদের সম্মানিত করেছি এবং স্থল ও সমুদ্রে (বাহনসমূহে) আরোহণ করিয়েছি এবং তাদের পবিত্র বস্তুসমূহ থেকে জীবিকা দান করেছি এবং আমরা যাদের সৃষ্টি করেছি তাদের অনেকের ওপর তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। (সূরা বনি-ইসরাইল- ৭০)
নবী (সা.) বলেন : কোনো মুসলমানের লাগানো শস্য বা গাছ থেকে কোনো পাখি, মানুষ অথবা কোনো জন্তু খেলে তার জন্য ওই ব্যক্তির ছদকার ছওয়াব হবে।
পশুর সঙ্গে সদয় আচরণ ও দয়া প্রদর্শনের একটি দিক হচ্ছে, যে পশু হিংস্র ও মানুষের ক্ষতি করে সেসব পশুকে সুন্দরভাবে হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনোভাবেই তাকে কষ্ট দিয়ে মারা যাবে না। যেসব পশুকে হত্যার অনুমতি দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে—বৃদ্ধ কুকুর, ইঁদুর, বিচ্ছু ও সাপ। তবে এগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে মারা যাবে না। আর যেসব জীব-জন্তুর গোশত আমরা ভক্ষণ করি; যেমন—গরু, ছাগল ও ভেড়া ইত্যাদি এবং গৃহপালিত পাখি, এগুলোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুন্দরমত জবাই করতে হবে যাতে তাদের কষ্ট কম হয়।
হাদিসে এসেছে, ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি একটি ভেড়া জবাই করার জন্য শোয়ানো অবস্থায় রেখে চাকুতে ধার দিচ্ছিলেন। তখন নবী (সা.) বললেন: তুমি কি পশুটিকে দু’বার মারতে চাও? তুমি কি পশুটিকে শোয়ানোর আগে চাকুতে ধার দিয়ে নিতে পারতে না?