আয়াতটিকে দুইভাগে তাফসীর করা যায় একটি হচ্ছে আল্লাহর চেহারা ছাড়া সবই নাবুদ হয়ে যাবে। আরেক ভাবে অর্থ করা যায় যার অর্থ হচ্ছে: প্রতিটি জিনিসই নাবুদ হয়ে যাবে কিন্তু তার চেহারা বিদ্যমান থাকবে।
প্রতিটি জিনিসের দুইটি চেহারা আছে একটি ব্যক্তিগত ও নিজস্ব আরেকটি হচ্ছে ঐশী ও খোদয়িী। ব্যক্তিগত চেহারা যেহেতু নির্ভরশীল তাই তা নাবুদ হয়ে যাবে। আর ঐশী চেহারা বিদ্যমান থাকবে।
সুতরাং ঐশী চেহারা নাবুদ হবে না। আর ইমাম মাহদী যেহেতু আল্লাহর চেহারা এবং আল্লাহর গচ্ছিত সম্পদ। সুতরাং তিনি কখনোই নাবুদ হবেন না। তিনি সর্বদা বিদ্যমান থাকবে।
সুতরাং নবী এবং ইমামগণের বাহ্যিক মৃত্যু হলেও তারা জীবিত। কেননা তারা আল্লাহর সাতে মিশে গেছেন। অন্যদিকে যারা কাফির মুশরিক এবং গোনাহগার তারা জীবিত থেকেও মৃত্যু। তাদের কোন নাম নিশানা বাকি থাকবে না।
আর ইমাম মাহদী যেহেতু সর্বদা আছেন এবং থাকবেন সেই জন্যই থাকে বাকিয়াতুল্লাহ বলা হয়।