IQNA

ইসলামধর্মে হালাল খাদ্য ও উপার্জনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার দর্শন

19:07 - October 18, 2016
সংবাদ: 2601788
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পবিত্র কুরআনে হালাল খাদ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الأَرْضِ حَلالا طَيِّبًا» হে মানুষ! তোমরা পৃথিবীতে যা কিছু হালাল ও পবিত্র কেবলমাত্র তাই ভক্ষণ কর। এই বিধান সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য এবং শুধুমাত্র মুসলমানদের মদ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
ইসলামধর্মে হালাল খাদ্য ও উপার্জনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার দর্শন


শাবিস্তানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা: দ্বীন ইসলামে হালাল ও পবিত্র খাবারের প্রতি গুরুত্ব দেয়ার একটি বড় দর্শন হচ্ছে হারাম খাবার মানুষের বংশে প্রভাব ফেলে এবং তাদের পরবর্তী বংশধরও খারাপ ও নষ্ট হয়ে যাবে।

পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে: «وَ لِلَّهِ مُلْکُ السَّماواتِ وَ الْأَرْضِ؛ ه আসামন ও জমিনে যা কিছু তার মালিক হচ্ছেন আল্লাহ। আর মানুষ হচ্ছে পৃথিবীর বুকে আল্লাহ প্রতিনিধি। «انّا جَعَلْناکَ خَلِیفَهً فِی الاَْرْضِ».

মহানবী হযরেত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন: অবৈধ পথে সম্পদ উপার্জণ করলে মানুষের সকল ইবাদত নষ্ট তথা বৃথা হয়ে যাবে। তিনি বিদায় হজেও বলেছিলেন: হে জনসকল! তোমরা হালাল পথে জীবিকা উপার্জন করবে, আল্লাহ তোমাদের সকল কর্ম দেখেন। যদি জীবনে উন্নতি করতে চাও তাহলে হালাল তথা বৈধভাবে উপার্জন করবে।

অবৈধ পথে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে যদি দান খয়রাতো করা হয় তাহলে তা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। এমনকি এই পয়সা দিয়ে হজ পালন করলেও তা কবুল হবে না। সুতরাং সর্বদা হালালভাবে উপাজন করতে হবে।

ইমাম হুসাইন(আ.) কারবালার ময়দানে বলেছিলেন: আজ আমি যে তোমাদের কাছে সাহায্য চাচ্ছি আর তোমরা আমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছ না এর মূল কারণ হচ্ছে তোমাদের উদরসমূহ হারামে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।

لقمه حلال

captcha