ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন, হালাল উপার্জন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার থেকেও বেশী কষ্টসাধ্য। কেননা হালাল খাদ্য মানুষের পূর্ণতা ও সৌভাগ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর এ জন্যই ইসলামধর্মে হালাল রুজির প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছে।
মানুষ শরীর ও রুহের সমন্বয়ে গঠিত। মানুষের শরীর তার রুহের উপর প্রভাব বিস্তার করে। সুতরাং হালাল খাবার মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখে আর আস্তাকে করে পরিশুদ্ধ।
যে ব্যক্তি হালাল পথে চলে তার বংশেও হালালের প্রভাব অব্যাহত থাকে। আর যে ব্যক্তি হারাম পথে চলে তার বংশেও এই হারামের প্রভাব অব্যাহত থাকে। যারা কারবালায় ইমাম হুসাইনকে হত্যা করেছিল তারা সবাই ছিল হারামখোর ও হারামজাদা।
মানুষের দান-খয়রাত, মানত ইত্যাদির সবই হতে হবে হালাল উপার্জনের মাধ্যমে। কেউ যদি হারাম বা অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ দিয়ে ভাল কাজ করে তার সে ভাল কাজ আল্লাহর কাছে কবুল হবে না এবং একাজের জন্য সে কোন সওয়াবও পাবে না। বরং তার গোনাহ আরও বৃদ্ধি পাবে।
সুতরাং কারও কাছ থেকে কিছু গ্রহণ করার সময় দেখতে হবে সে হালাল ও বৈধ পথে চলতে বিশ্বাসী নাকি অবৈধ পথে চলতে অভ্যস্ত। তবে যদি অপরিচিত লোক হয় সেক্ষেত্রে ভিন্ন।