IQNA

রোহিঙ্গা ইস্যু: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব, বাংলাদেশের উদ্বেগ

1:19 - November 24, 2016
সংবাদ: 2602020
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সেনা অভিযানের প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সঙ্কট আরও প্রকট আকার ধারণ করায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ। একই সাথে এ ইস্যুতে বাংলাদেশকে জড়িয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যমে যেসব আপত্তিকর সংবাদ ছাপা হচ্ছে, তারও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গা ইস্যু: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব, বাংলাদেশের উদ্বেগ
বাংলাদেশ সরকারের তলবের পর বেলা সাড়ে তিনটায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেলে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিউ মিন্ট থানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ উদ্বেগ জানান মন্ত্রণালয়ের দ্বিপাক্ষিক এবং কনস্যুলার বিষয়ক সচিব কামরুল আহসান।

আধাঘন্টা পর রাষ্ট্রদূত চলে গেলে কামরুল আহসান সাংবাদিকদের বলেন, যে পরিস্থিতি চলছে তা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথামিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের শরণার্থীরা যাতে ফিরে যেতে পারেন, সেজন্য পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

পরে ইমেইলে এ বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের কারণে ক্রম অবনতিশীল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে যে প্রভাব পড়েছে, সে বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে। মরিয়া রোহিঙ্গারা কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে চাইছে, সে বিষয়েও রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করা হয়েছে।

জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহবান জানিয়েছে, এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কী করছে? বিবিসি এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেছেন, দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ অনেক কিছু করছে। কিন্তু সব প্রকাশ করা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে অমাদের যা করার দরকার, তা আমরা করছি।

সচিব বলেন, কূটনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি এমন একটি জিনিস যে সবসময় সব কথা বলা যায় না, বলা উচিতও নয়। তার মানে এটা নয় যে, আমরা কিছু করছি না। আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি, এ পরিস্থিতিতে যেটা করার আমরা সেটা করছি, করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে করা হবে।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশ সবসময় তৎপর এবং এ বিষয়ে দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ সবসময় যোগাযোগ রাখে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।

অক্টোবরের শুরুর দিকে মিয়ানমারের তিনটি সীমান্ত পোস্টেবিচ্ছিন্নতাবাদীদেরহামলায় ৯ সীমান্ত পুলিশের মৃত্যুর পর আশপাশের এলাকাগুলোয় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত জেলাগুলোয় শুরু হয় সেনাবাহিনীর অভিযান।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ব্যাপক মানবাধিকার করছে বলে অভিযোগ করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, সেনাবাহিনীর অভিযানে রাখাইন প্রদেশে ১২শর বেশি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

captcha