বাংলাদেশের উপকূলীয় শহর কক্সবাজারে বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং কোস্টগার্ড পুলিশ যৌথভাবে রোহিঙ্গাদের গণহারে শায়েস্তা করার অভিযানে নেমেছে। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে নয় পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মাসের ৯ তারিখ থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান জন ম্যাককিসিক।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের গুলি করে হত্যা করছে, শিশুদের জবাই করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা মুসলমানদের ঘরবাড়িতে আগুন দেয়া হচ্ছে এবং নির্বিচারে লুটপাট চালানো হচ্ছে। এতে রোহিঙ্গা মুসলমানরা নদী পার হয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে ঢুকতে বাধ্য হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ব্যাপক সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া সমস্যা হলেও এর কোনো বিকল্প নেই বলে জানান তিনি। জন ম্যাককিসিক বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য এর একমাত্র বিকল্প হলো নির্যাতন এবং মৃত্যু।
এ ছাড়া, বাংলাদেশ সীমান্ত উন্মুক্ত রাখার বিপদের কথাও তুলে ধরেন তিনি। জন ম্যাককিসিক বলেন, এমনটি করা হলে মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো গণহত্যা এবং তাদেরকে ঠেলে পাঠানোর বিষয়ে উৎসাহিত করা হবে। এতে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে জাতিগত সংখ্যালঘু নিধনের মিয়ানমারের উদ্দেশ্য সফল হবে বলে মনে করেন কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর অফিসের এই প্রধান কর্মকর্তা।