IQNA

রোহিঙ্গাদের সাহায্যে সবারই এগিয়ে আসা উচিত: ইরানি রাষ্ট্রদূত

23:48 - November 29, 2016
সংবাদ: 2602053
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজি দেহনাভি বলেছেন, "সন্ত্রাসবাদ যারাই করুক তা গ্রহণযোগ্য নয়। চরমপন্থা ও সন্ত্রাসের প্রশ্নে দ্বিমুখী নীতি থাকলে এ সংকটের কোনো সমাধান সম্ভব নয়।"


বার্তা সংস্থা ইকনা: শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকায় ইরানের সংস্কৃতি কেন্দ্রে ‘ইসলাম ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইন’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। দি ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দি রেডক্রস বা আইসিআরসি ও ইরানের সংস্কৃতি কেন্দ্র যৌথভাবে এ আলোচনাসভার আয়োজন করে।   ইরানের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ইসলাম নির্দেশিত শান্তিপূর্ণ আচরণ অনুসরণের মাধ্যমে সন্ত্রাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ সময় তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানন।
ড. আব্বাস ভায়েজি মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে বলেন, সবারই উচিত এই অসহায় মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসা। ইসলাম অবশ্যই মানবিক গুণাবলী ও মানবাধিকারকে গুরুত্ব দেয়। রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে তিনি এনজিওগুলোর প্রতিও আহবান জানান।
আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. খিজির হায়ত খান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মায়মুল আহসান খান। অধ্যাপক মায়মুল আহসান খান রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতনকে হত্যাযজ্ঞ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ইউএনএইচসিআর এখন বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের জন্যে সীমান্ত খুলে দেয়ার কথা বললেও এতদিন ধরে তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো গ্রহণযোগ্য সমাধানে যেতে পারেনি। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন জাতিসংঘ যুদ্ধকে নিষিদ্ধ করে না? কিন্তু যুদ্ধ ও সন্ত্রাস দেশে দেশে নিরীহ ও নিরাপরাধ মানুষেরই বেশি ক্ষতি করে। তিনি আরো বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশে যা ঘটেছে এখন রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর তাই ঘটছে। রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ যুদ্ধাপরাধ ছাড়া কিছুই নয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যে, রোহিঙ্গাদের ওপর কি ধরনের নির্যাতন হচ্ছে তা তদারকি করে।
অনুষ্ঠানে আইসিআরসি’র হেড অব ডেলিগেশন ইখতিয়ার আসলানভ বলেন, জেনেভা কনভেনশন মেনে চললে অনেক দেশে চলমান নির্যাতন প্রতিরোধ করা যেত। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া সন্ত্রাস ও জাতিগত নিধনের মত হত্যাযজ্ঞ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় এবং এধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সুশীল সমাজ ও ধর্মীয় নেতারা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে ইরানের সংস্কৃতি কেন্দ্রের কাউন্সেলর সাইয়্যেদ মুসা হোসেইনি বলেন, বিশ্ব মানবতা মানুষের শরীরের মতো যার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হলে অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গও তা অনুভব করে। এ কারণে বিশ্বের যেখানেই সন্ত্রাস ও নির্যাতন হোক না কেন, সেটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
iqna

রোহিঙ্গাদের সাহায্যে সবারই এগিয়ে আসা উচিত: ইরানি রাষ্ট্রদূত
রোহিঙ্গাদের সাহায্যে সবারই এগিয়ে আসা উচিত: ইরানি রাষ্ট্রদূত

captcha