IQNA

রাসূল (সা.) মানব জাতিকে অজ্ঞতা ও মূর্খতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিয়েছেন

0:19 - December 25, 2016
সংবাদ: 2602228
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) মানবতার মুক্তির দূত। তার ঐতিহাসিক জন্মলাভের মধ্য দিয়ে মানবজাতি অন্ধকার ও মূর্খতার অভিশাপ থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে।

শাবিস্তানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইরানের শীর্ষ আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত আয়াতুল্লাহ আল উযমা জাফর সুবহানি এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বলেন: মহানবী হযরত মুহাম্মাদের (সা.) মহিমান্বিত জন্ম দিবস মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সৌভাগ্যপূর্ণ দিন। কেননা এ মহামানবের আগমনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানবতা জুলুম-অত্যাচার এবং অন্ধকার ও অজ্ঞতার অভিশাপ থেকে রেহাই পেয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় ওয়াহাবি মুফতিরা মহানবীর (সা.) জন্ম দিবসের মিলাদুন্নবীর মাহফিলকে বিদআত হিসেবে আখ্যায়িত করছে। তাদের এহেন ফতওয়া ইসলাম ও কুরআন সম্পর্কে এ বিভ্রান্ত গোষ্ঠীর অজ্ঞতার পরিচয় বহন করে।

তিনি বলেন: পবিত্র কুরআনে সূরা মায়েদাতে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালা হযরত ঈসা (আ.) ও তার সাথীদের জন্য আসমান থেকে বেহেশতি খাদ্য নাযিল করেছেন। আর এ খাদ্য নাযিলের পর আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে হযরত ঈসা (আ.) ও তার সাথীরা আনন্দ ও উৎসব পালন করেছিলেন।

তিনি বলেন: মানব জাতির হেদায়েত ও দিকনির্দেশনার উদ্দেশ্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মাদের (সা.) আগমন উক্ত বেহেশতি খাদ্যের চেয়েও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ। কেননা তার আগমনের মধ্য দিয়ে এ পৃথিবী আলোকিত ও উদ্ভাসিত হয়েছে। তিনি অজ্ঞতা ও মূর্খতায় জর্জরিত তদানীন্তন মানব জাতিকে নাজাত দিয়েছেন। তিনি জাহেলিয়াতের যুগের মানুষকে মূর্তি পূজারীর ন্যক্কারজনক সংস্কৃতি থেকে মুক্তি দিয়ে এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর উপাসনার শিক্ষা দিয়েছেন।

শুধু তাই নয়, রাসূল (সা.) দুনিয়া ও পরকালে মানুষের মুক্তি লাভের নিমিত্তে মানব জাতির জন্য আসমানি কিতাব কুরআনকে নিয়ে এসেছেন। কাজেই মহানবীর (সা.) এ পৃথিবীতে আগমনের দিন সমগ্র মানব জাতির জন্য মহা আনন্দ ও উৎসবের দিন। সুতরাং মহানবী হযরত মুহাম্মাদের (সা.) মহিমান্বিত জন্ম দিবসে আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে মিলাদ মাহফিল উদযাপন করা আমাদের ঈমান এবং রাসূলের (সা.) প্রতি ভক্তি ও ভালবাসার পরিচয় বহন করে।

captcha