
abnews24 এর উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা: গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অসামরিক এবং পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে স্পর্শকাতর এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে শুক্রবার কয়েকটি স্থানে ফ্ল্যাগমার্চ করেছে আধাসামরিক বাহিনী। জাঠ আন্দোলনকারীরা আগামীকাল ২৯ জুন থেকে আন্দোলনের ঘোষণা দেয়ায় রোহতক জেলা প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিভিন্নস্থানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এক কর্মকর্তা বলেন, শহরের রেলওয়ে স্টেশন এবং জাতীয় সড়কের ৫০০ মিটারের মধ্যে ৫ বা তার চেয়ে বেশি লোকের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
হরিয়ানা সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যে ৭ হাজার হোমগার্ড মোতায়েনসহ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৫৫ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী চাওয়া হয়েছে। হিসারে ৫ কোম্পানি করে প্যারামিলিটারি এবং হরিয়ানা পুলিশের দল পাঠানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রকাশ, জিন্দে ২ কোম্পানি র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (র্যাফ) এবং ঝজ্জরে ৮ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার সোনিপথ এবং হিসারে ৪৩ জন খাপপঞ্চায়েত নেতা জাঠ আন্দোলনে শামিল হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। খাপ প্রধানরা বলছেন, সংরক্ষণ সুবিধা পাওয়ার জন্য বড় ত্যাগ স্বীকার করার জন্য তারা তৈরি রয়েছেন। রোহতকে আন্দোলনকারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্না-অবস্থান শুরু করেছেন। তারা গতবছর আন্দোলনের সময় যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
গতবছর অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির আওতায় শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণ সুবিধা পাওয়ার দাবিতে জাঠ আন্দোলনের জেরে ৩০ জন নিহত হওয়াসহ ব্যাপক ভাঙচুর এবং ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় রাজ্যের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামতে হয়। রোহতক, জিন্দ, ঝজ্জর, ভিওয়ানি, হিসার, কাইথাল, সোনিপথ এবং পানিপথে সেনাবাহিনীকে অবস্থান নিতে হয়। এছাড়া গোলযোগপূর্ণ এলাকায় মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হয়।