বার্তা সংস্থা ইকনা: সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করে তিনি প্রমাণ করেছেন এই বিবর্তনশীল ব্যাধি কোন অক্ষমতার কারণ নয়।
দীর্ঘ দুই বছর কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আহমাদ যাহিরুদ্দীন সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করেছেন। বর্তমানে তার নাম মালয়েশিয়ার সংবাদ শিরোনামে স্থান পাচ্ছে।
দারুল কুরআন একাডেমীর শিক্ষার্থী আহমাদ যাহিরুদ্দীন বলেন: "যখন পবিত্র কুরআন আমাদের হৃদয়ে স্থান পায়, তখন আমাদেরকে ধৈর্যশীল এবং উত্তম মানুষে পরিণত করে"।
আহমাদ যাহিরুদ্দীন বিভিন্ন সময়ে হয়রানির স্বীকার হয়েছেন। এজন্য তার পিতা পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে উপযুক্ত স্থানে ভর্তি করানোর চেষ্টা করেছেন।
আর এজন্যই তাকে মসজিদের দারুল কুরআন একাডেমীতে ভর্তি করিয়ে দেয়। আহমাদ এই একাডেমীর প্রথম অটিজম রোগে আক্রান্ত ছাত্র। একাডেমীতে ভর্তির কিছু দিনের মধ্যের স্পষ্ট হয়েছে যে, সেখানে ভর্তি করে তার উন্নতি হয়েছে।
আহমাদ যাহিরুদ্দীনের প্রচেষ্টা বৃথা যায়নি। মালয়েশিয়ার 'কুলাকুবার ব্যারো' শহরের জামে মসজিদের দারুল কুরআন ভর্তি হওয়ার দুই বছরের মধ্যে তিনি সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করেছেন। হত সপ্তাহে তিনি তার হেফজ শেষ করেছেন।
পবিত্র কুরআনের সকল আয়াত মুখস্থ করার মানুষের জন্য সহজ নয়। সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতি, আন্তরিকতা ও ভালবাসার প্রয়োজন রয়েছে।
আহমাদ যাহিরুদ্দীনের কুরআন হেফজের বিষয়টি আমাদের জন্যেও একটি শিক্ষা হতে পারে। আমাদের ভুলে গেলে হবে না, মূল্যবান কোন কিছু অর্জন করার জন্য দৃঢ় পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে এবং সেটা অর্জন না করা পর্যন্ত একাধারে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।