শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: স্বল্প মেয়াদী অন্তর্ধানের সময় ইমামের যে চারজন নায়েব ছিলেন তারা সাবই ইরাকে বসবাস করতেন। ইমাম তাদেরকে অনেক চিরকুটও দিয়েছেন। সুতরাং বোঝা যায় যে, ইমাম ঐ সময়ে একটি বড় সময় ইরাকেই অতিবাহিত করেছেন।
কিছু হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ইমাম মাহদী(আ.) তাঁর অনেকটা সময় মদিনায় পার করেছেন। তবে সেখানে বলা হয় নি, তা স্বল্প মেয়াদী অন্তর্ধানের সময় নাকি দীর্ঘ মেয়াদী অন্তর্ধানের সময়।
ইমাম বাকির(আ.) বলেছেন: অন্তর্ধানের সময়ে ইমাম মাহদী(আ.) মদিনায় থাকবেন। এই সব হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে তিনি মদিনা এবং ইরাক(সামাররাহ) উভয় জাগাতেই বসবাস করেন।
কিছু হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম মাহদী(আ.) যি তুবাতে বসবাস করেন। যি তুবা হচ্ছে মক্কার এক ফারসাখ দূরে এবং হারামের এরিয়ার মধ্যে।
ইমাম হাদি(আ.) এবং ইমাম হাসান আসকারির(আ.) বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ডে একটি শীতল স্থান ছিল যেখানে বসে ইমামগণ ইবাদত-বন্দেগী করতেন। ইমাম মাহদী(আ.) তাঁর জীবনের একটি বড় সময় এই সারদাব তথা আন্ডারগ্রাউন্ডের শীতল স্থানে অতিবাহিত করেছেন। ইমাম আসকারীর শাহাদাতের পর শিয়ারা ঐ স্থানেও যিয়ারতের জন্য যেতেন। কেননা স্থানটি ছিল একটি অতি পবিত্র ইবাদতের স্থান।
তবে আরও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ইমাম মাহদী(আ.) আমাদের মাঝেই বসবাস করেন। তিনি বাজারেও যান, মসজিদেও যান কিন্তু আমরা তাকে চিনতে পারি না।
এছাড়াও ইমাম মাহদী(আ.) প্রতি বছর হজের মৌসুমে আরাফাত ও মিনায় হাজির হন এবং নাজাফ, কারবালা ও মসজিদে সাহলাতেও নিয়মিত আসা যাওয়া করেন। তিনি ইরানের পবিত্র কুম শহরে অবস্থিত মসজিদে জামকারানেও যান।