
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: বর্তমানের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে শুধু দোয়া করলেই তাকে প্রতীক্ষাকারী বলা যাবে না বরং এর জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রযুক্তির অঙ্গনে ভূমিকা পালন করা।
ইমামগণ বলেছেন, অবশ্যই মুসলমানদেরকে তাদের সমসাময়িক সকল বিষয়ে অবগত থাকতে হবে এবং প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হাতে নিতে হবে।
সুতরাং ইমাম মাহদীর অন্তর্ধানের সময়ে প্রতীক্ষাকারীদের দায়িত্ব হচ্ছে নিজেদের যুগ সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং ইমাম মাহদীর ন্যায়পরায়ণ হুকুমত প্রতিষ্ঠার জন্য যুগ উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
বিশ্বমানবতার মুক্তিদাতার প্রতীক্ষা, প্রতীক্ষাকারীর জীবনের প্রতিটি দিকেই প্রভাব বিস্তার করে। চিন্তাজগত দিক যা মানুষের কার্যগত দিকের ভিত্তি তা মানুষের জীবনের মৌলিক বিশ্বাসের সীমারেখাকে রক্ষা করে।
অন্যকথায় সঠিক প্রতীক্ষার দাবি হচ্ছে প্রতীক্ষাকারী তার আক্বীদা-বিশ্বাস ও চিন্তার ভিত্তিকে মজবুত করবে যাতে করে সে ভ্রান্ত মাযহাবসমূহের ফাঁদে না পড়ে অথবা ইমাম মাহদী (আ.)-এর অন্তর্ধান দীর্ঘ হওয়ার ফলে হতাশার অন্ধকূপে নিমজ্জিত না হয়।
ইমাম মুহাম্মদ বাকের (আ.) বলেছেন: মানুষের প্রতি এমন দিন আসবে যে দিন তাদের ইমাম অদৃশ্যে থাকবেন। অতঃপর তাদের জন্য সুসংবাদ ,যারা সে সময়ে আমাদের ইমামতের উপর বিশ্বাসে অটল থাকবে।
অর্থাৎ অদৃশ্যকালীন সময়ে শত্রুরা বিভিন্ন সন্দেহমূলক প্রশ্ন উত্থাপন করার মাধ্যমে শিয়া মাযহাবের সঠিক আক্বীদাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করবে আর ঠিক তখনই প্রতীক্ষার ঘাটিতে অবস্থান নেওয়ার ফলে বিশ্বাসের সীমানা রক্ষিত হবে।
কার্যগত ক্ষেত্রে প্রতীক্ষা মানুষের সবধরনের কর্মকাণ্ডে সঠিক পথ নির্দেশ করে। প্রতীক্ষাকারীকে কর্মক্ষেত্রে সচেষ্ট হতে হবে যার মাধ্যমে ন্যায়নিষ্ঠ শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। সুতরাং প্রতীক্ষাকারী এ পর্যায়ে আত্মগঠন ও সমাজ সংশোধনে সচেষ্ট ভূমিকা পালন করে থাকে। অনুরূপভাবে ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও আত্মগঠনের জন্য চারিত্রিক গুণাবলির দিকে গুরুত্ব দেয় এবং নূরানী দলে কার্যকরী ভূমিকা পালন করার জন্য শারীরিক শক্তি উপার্জন করে।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন: যারা ইমাম মাহদীর (আ.) সাহায্যকারী হতে চায় তাদেরকে প্রতীক্ষা করতে হবে এবং প্রতীক্ষার অবস্থায় পরহেজগার এবং উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে হবে।
শাবিস্তান