
এ খবর নিয়ে কিছু কথা: তবে কসোভাপ্রেসের প্রদত্ত প্রতিবেদনে প্রায় ১৮ মিলিয়ন অর্থাৎ ১৭•৭ মিলিয়ন জার্মান যারা ৮৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার ২১•২% তারা একাকী নি:সঙ্গ জীবন যাপন করছে। জার্মানিতে একাকীত্ব বর্তমানে মহামারীর রূপ ধারণ করেছে।আর এই একাকীত্বের জীবন পাশ্চাত্য সভ্যতা, সংস্কৃতি ও মতাদর্শ (আইডিওলোজি) অনুসারে কি সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য? কোনটা?!!!
দেখুন:
https://kosovapress.com/en/About-18-million-people-in-Germany-face-the-risk-of-poverty.
গত ২০ বছরে একাকীত্ব কমে নি বরং বেড়েছে। সামনে আরো বাড়বে নি:সঙ্গ একাকী সঙ্গী-সাথী বিহীন জার্মানদের সংখ্যা। এর এক অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে যে জার্মানিতে অনেক মানুষের আয় উপার্জন পারিবারিক জীবন যাপনের জন্য যথেষ্ট ও পর্যাপ্ত নয়। তাই অপ্রতুল আয়ের কারণে একাকী নি:সঙ্গ জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে ৮৫ মিলিয়ন জনসংখ্যা অধ্যুষিত জার্মানির ১৭•৭ মিলিয়ন লোক!!! অথচ জার্মানি ইউরোপের ১ নং অর্থনৈতিক ও শিল্পোন্নত শক্তি। আধুনিক প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের পথিকৃৎ জার্মানির এহেন করুণ অবস্থা ও দশা! পাশ্চাত্যের সবচেয়ে শিল্পোন্নত ও ধনী দেশগুলোর একটি বরং ইউরোপীয় মহাদেশের সর্বপ্রধান অর্থনীতি ও সবচেয়ে ধনী দেশ জার্মানির ১৭•৭ মিলিয়ন মানুষ ( মোট জনসংখ্যা ৮৫ মিলিয়ন) অর্থনৈতিক টানাপোড়েন, দারিদ্র ও স্বল্প আয়ের কারণে একাকী নি:সঙ্গ জীবন যাপন করছে। এই যদি পশ্চিমা দেশগুলো অর্থাৎ পাশ্চাত্যের অবস্থা হয় তাহলে তারা বিশ্বের অন্যা সকল দেশের দারিদ্র ও সমস্যা দূর করবে ও ঘুচাবে কেমনে?!! ফাক্বিদুশ শাইয়ি লা ইয়ু'ত্বী (فاقد الشيء لا یعطي) অর্থাৎ যার কিছুই নেই সে কিছুই দিতে পারে না বা যার যেটা নেই সেটা সে দিতে পারে না।)
যে পশ্চিমা বিশ্ব বা পাশ্চাত্য নিজেই নিজের সমস্যায় জর্জরিত ও অসহায় তারা কিনা করবে আমাদের দেশের সমস্যা ও দারিদ্রের সমাধান?!কিন্তু আমাদের দেশে পশ্চিমাদের পাচাটা এজেন্টরা (পাশ্চাত্য প্রেমিক ও পাশ্চাত্য পূজারীরা) সবসময় বলে আসছে যে আমাদের দেশ ও জাতি নাকি পশ্চিমাদের সাহায্য,দান-সদকা,করুণা ও দয়া-দাক্ষিণ্য ছাড়া চলতে ও বাঁচতেই পারবে না!!!
পাশ্চাত্য সভ্যতা ও সংস্কৃতি এবং পশ্চিমা দেশগুলো তাদের নিজেদের জনগণের সমস্যার সমাধান তো করতে পারে নি বরং নিজেদের জনগণ সহ বিশ্ববাসীর দু:খ,কষ্ট ও যাতনা বৃদ্ধি করে দিয়েছে যা আমরা বিভিন্ন দেশে প্রত্যক্ষ ভাবে উপলব্ধি করছি এবং জার্মানির মতো শিল্প, প্রযুক্তি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত ও ধনাঢ্য দেশের জনসংখ্যার এক বিরাট অংশ অর্থনৈতিক দুর্গতি ও টানাপোড়েনের এবং পশ্চিমা বস্তুবাদী সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রত্যক্ষ নেতিবাচক প্রভাব ও প্রতিক্রিয়ার বশবর্তী হয়ে একাকী নি:সঙ্গ জীবন যাপন করছে যা সত্যি দু:খজনক, কষ্টকর ও বেদনাদায়ক। এরপরও কি পাশ্চাত্য প্রেমিক ও পাশ্চাত্য পূজারীরা পাশ্চাত্য সভ্যতা ও সংস্কৃতি আমাদের দেশে প্রবর্তনের পক্ষে ওকালতি করেই যাব?!!!
আমাদের সমস্যার সমাধান পাশ্চাত্যের হাতে নয় বরং আমাদের হাতেই যে রয়েছে তা আমাদের সবার উপলব্ধি করতে হবে।
ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান