
বার্তা সংস্থা ইকনা: এক প্রশ্নের উত্তরে ওয়াইসি নিজেকে ‘সেক্যুলার’ বলে দাবি করে বলেন, ‘আরএসএস এবং বিজেপি’র উদ্দেশ্যে দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করা। আমি দেশকে ধর্মীয়ভিত্তিক করার বিরোধী। আমি দাবি করছি না যে, ভারতে শরিয়া চালু করতে হবে, আমি সংবিধান মেনে চলতে চাই। সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতাসহ যেসব অধিকারের কথা বলা সেসব নিয়েই আমার আন্দোলন।’
‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান দেয়ার প্রশ্নে ওয়াইসি বলেন, যখন এ নিয়ে কোনো আইন নেই, তাকে কেউ ওই বিষয়ে জোর করতে পারেন না, এই বিষয়ে তার স্বাধীনতা রয়েছে।
বিজেপি’র এজেন্ট হওয়ার প্রশ্নে ওয়াইসি বলেন, ‘যখন আমি দশ বছর ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলাম তখন আমি দুধে ধোয়া ছিলাম, আর এখন বিজেপি’র এজেন্ট হয়ে গেলাম?’
দলিত-মুসলিম জোটের প্রশ্নে ওয়াইসি বলেন, নির্বাচন নিয়ে মায়াবতীর (দলিত নেত্রী ও বিএসপি প্রধান) সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। তবে তিনি দলিত-মুসলিমদের মধ্যে সামাজিক জোটের পক্ষে, রাজনৈতিক জোটের কথা তো পরেও হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। বিএসপি’র সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১১ মার্চ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে বিষয়টি দেখা যাবে। তিনি কংগ্রেস, সপা এবং বিজেপিকে সমর্থন করার কোনো প্রশ্নই নেই বলে মন্তব্য করেন।
সপা নেতা ও সিনিয়র মন্ত্রী আজম খান প্রসঙ্গে বলেন, তার মোকাবিলা সপা প্রধান অখিলেশের সঙ্গে, তিনি আজম খানের সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন না। তবে তিনি মুজাফফরনগর দাঙ্গার সময় আজম খানের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, পরিসংখ্যানে প্রকাশ, উত্তর প্রদেশে দলিত এবং মুসলিমদের উন্নয়ন হয়নি। যেখানে যাদব পরিবার আছে সেখানে উন্নয়ন হয়েছে। মুসলিমদের অনুন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি সাচার কমিটি, রঙ্গনাথ মিশ্র কমিটি কুন্ডু কমিটি, ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে, ২০১১ সালের আদমশুমারি রিপোর্ট প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবকে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলে মন্তব্য করেন।
পার্সটুডে