বার্তা সংস্থা ইকনা: এ সময় সর্বোচ্চ নেতা বলেন: ইরান ও আজারবাইজানের ধারণক্ষমতা এবং সুযোগ সুবিধার তুলনায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা মাত্রা অনেক কম। অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রায় দশ গুণ বৃদ্ধি করতে হবে।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইরান ও আজারবাইজানের মধ্যকার সম্পর্ক দুর্বল করার জন্য অন্য যেকোনো শত্রুর চেয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল বেশি চেষ্টা চালাচ্ছে। রোববার ইরানে একদিনের সফরে এসে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শত্রুদের ষড়যন্ত্রের জবাবে তেহরান ও বাকুকে অবশ্যই নিজেদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করতে হবে।
এ সময় তিনি ইরানের পরমাণু ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে আজারবাইজানের অবস্থানের প্রশংসা করেন। আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, আজারবাইজানের রাজনৈতিক সম্প্রদায় ও আজেরি সরকার সবসময় ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং এই ইতিবাচক অবস্থান দু দেশের সম্পর্ক আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ঘনিষ্ঠ করেছে।
সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে আলিয়েভের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানের সময় সেখানে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আলিয়েভ বলেন, তেহরান এবং বাকুর মধ্যে সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় অভিন্নতা রয়েছে। দু দেশের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভেদের বীজ বপনের চেষ্টা করা হলেও ইরান ও আজারবাইজানের মধ্যে উঁচু পর্যায়ের সম্পর্ক রয়েছে এবং শত্রুদের এ ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০১৬ সালে তেহরান ও বাকু বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ২০টি চুক্তি ও সমঝোতা সই করেছে। এছাড়া, আগের চেয়ে দু দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ শতকরা ৭০ ভাগ বেড়েছে। তবে, দু দেশের মধ্যকার বর্তমান বাণিজ্যের পরিমাণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আলিয়েভ। তিনি জানান, রেলওয়ে লিংকসহ দু দেশ এখন যৌথ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এ সাক্ষাতের আগে দুই প্রেসিডেন্ট রোববার মালবাহী রেলওয়ে সহযোগিতা নিয়ে নতুন একটি চুক্তিতে সই করেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ইউরোপ থেকে ইরানের ভেতর দিয়ে দক্ষিণ এশিয়া পর্যন্ত রেল যোগাযোগ গড়ে উঠবে। এছাড়া, ইরান ও আজারবাইজানের রেল ব্যবস্থার মধ্যেও যোগাযোগ গড়ে তোলার বিষয়ে দুপক্ষ সম্মত হয়েছে।
iqna