IQNA

কর্মস্থলে হিজাব পরা নিষিদ্ধ : ইউরোপের শীর্ষ আদালত

1:11 - March 15, 2017
সংবাদ: 2602715
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চাকরিদাতারা বা প্রতিষ্ঠান কর্মচারীদের জন্য হিজাব পরা নিষিদ্ধ করতে পারবেন। এমন রায় দিয়েছে ইউরোপের শীর্ষ আদালত ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস। আদালত বলেছে, প্রতিষ্ঠানের সব কর্মচারির জন্য ধর্মীয় পোশাক পরা নিষিদ্ধ হলে তা বৈষম্যমুলক হবে না।
কর্মস্থলে হিজাব পরা নিষিদ্ধ : ইউরোপের শীর্ষ আদালত

বার্তা সংস্থা ইকনা: এতে বলা হয়, ইউরোপের শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে চাকরিদাতারা তাদের কর্মচারীদের হিজাবসহ যে কোনরকম রাজনৈতিক, দার্শনিক অথবা ধর্মীয় পরিচয় লোকের সামনে দৃশ্যত তুলে ধরে এমন পোশাক বা প্রতীকপরা নিষিদ্ধ করতে পারবে। তবে ইউরোপের বিচার আদালত (ইউরোপীয়ান কোর্ট অব জাস্টিস) তার রায়ে বলেছে সব কর্মচারির সাজপোশাক নিরপেক্ষরাখার নিজস্ব নীতির উপর ভিত্তি করে কর্মদাতা প্রতিষ্ঠানকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটা কোনো একজন ভোক্তার ব্যক্তিগত ইচ্ছার ভিত্তিতে করা যাবে না বলে আদালত বলছে।

বিবিসি প্রতিবেদনে আরও বলেছে, কর্মস্থলে হিজাব পরার ব্যাপারে এটি এই আদালতের প্রথম রায়। বেলজিয়ামে জি ফোর এস কোম্পানির এক রিসেপসনিস্টকে হিজাব পরার কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার এক মামলায় ইউরোপীয় বিচার আদালত এই রায় দিল। বেলজিয়ামের আদালত আইনী ব্যাখ্যার জন্য ইউরোপের সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলা হস্তান্তর করেছিল। সামিরা আচবিতা তিন বছর ওই প্রতিষ্ঠানে চাকর করার পর যখন কর্মস্থলে হিজাব পরতে শুরু করেন, তখন তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

তিনি দাবি করেন ধর্মীয় কারণে তার প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। কিন্তু তার চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মক্ষেত্রের নিয়মবিধি সংস্কার করে কাজের জায়গায় যে কোনরকম রাজনৈতিক, দার্শনিক অথবা ধর্মীয় পরিচয় বহনকারী পোশাক বা প্রতীক দৃশ্যত তুলে ধরা এবং/অথবা এধরনের বিশ্বাসের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলবলে ব্যাখ্যা দিয়েছে আদালত। আদালত বলেছে তাদের নতুন নিয়মবিধিতেসাজপোশাকে এ ধরনের বিশ্বাসের প্রদর্শন কোনো একটি ধর্ম বা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে যেহেতু প্রযোজ্য নয়তাই এটা বৈষম্যমূলক বলে বিবেচিত হবে না।

তারা বলছে একটি প্রতিষ্ঠান যদি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সেবাগ্রহণকারীদের কাছে তাদের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চায় তাহলে সেটা বৈধ'’- তবে জাতীয় পর্যায়ের আদালতকে এটা নিশ্চিতভাবে দেখতে হবে যে ওই প্রতিষ্ঠানের নীতি সব কর্মচারীর জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হচ্ছে কীনা। এই মামলার ক্ষেত্রে বেলজিয়ামের আদালতকে এটাও নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করতে হবে যে মিস আচবিতাকে সেবাগ্রহণকারীদের সামনে আসতে হয় না এমন কোন কাজে বদলি করা সম্ভব ছিল কীনা।

iqna


ট্যাগ্সসমূহ: ইকনা ، হিজাব ، ধর্ম ، আদালত ، ইউরোপ
captcha