
বার্তা সংস্থা ইকনা: ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন: আল্লাহ তাআলা তার কারণে আকাশে ও মাটিতে বরকতের বন্যা বইয়ে দিবেন। আকাশ থেকে রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হবে এবং মাটি থেকে ফসল উৎপন্ন হবে ।
পৃথিবীর সকল সম্পদ যখন ইমাম মাহদী (আ.)-এর কাছে প্রকাশ পাবে এবং তার যামানার মানুষের উপর আকাশ ও মাটির সকল বরকত বর্ষিত হবে ও মুসলমানদের বাইতুল মাল সমভাবে বণ্টিত হবে তখন দরিদ্রতার আর কোন স্থান থাকবে না। ইমাম মাহদী (আ.)-এর হুকুমতে সকলেই অভাব ও দরিদ্রতার কালো থাবা থেকে মুক্তি পাবে।
তার সময়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভ্রাতৃত্ব ও সাম্যের সাথে গড়ে উঠবে। ব্যক্তিগত স্বার্থপরতা ও অর্থলিপ্সার স্থানে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ব স্থান নিবে। তখন সকলেই প্রত্যেককে একই পরিবারের সদস্য মনে করবে। সুতরাং প্রত্যেকেই অন্যকে নিজের মনে করবে এবং তখন সর্বত্র একতা ও অভিন্নতার সুবাস ছড়িয়ে পড়বে।
ইমাম বাকের (আ.) বলেছেন: ইমাম মাহদী (আ.) বছরে দুই বার জনগণকে দান করবেন এবং মাসে দুই বার তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবেন। এ ক্ষেত্রেও তিনি সমানভাবে সবার মধ্যে বণ্টন করবেন। এভাবে মানুষ স্বনির্ভর হয়ে উঠবে এবং যাকাতের আর প্রয়োজন হবে না।
বিভিন্ন রেওয়ায়ত থেকে বোঝা যায় যে ,মানুষের স্বনির্ভরতার কারণ হচ্ছে তারা স্বল্পে তুষ্ট। অন্য কথায় মানুষের পার্থিব ধন-সম্পদ বেশী হওয়ার পূর্বে যার মাধ্যমে স্বনির্ভর হবে আত্মিক প্রশান্তি তথা আত্মিক স্বনির্ভরতার প্রয়োজন। আল্লাহ তা ’ আলা তাদেরকে যা দিয়েছেন তারা তাতেই সন্তুষ্ট। কাজেই অন্যের সম্পদের দিকে তাদের কোন লোভ বা লালসা থাকবে না।
রাসূল (সা.) এ সম্পর্কে বলেছেন: আল্লাহ তা ’ আলা স্বনির্ভরতাকে মানুষের অন্তরে দান করে থাকেন ।
যদিও ইতিপূর্বে অর্থাৎ ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাবের পূর্বে মানুষ ,লালসা ও সম্পদের আধিক্যের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিল এবং গরিবদের প্রতি দান-খয়রাতের কোন ইচ্ছাই তাদের মধ্যে ছিল না। মোটকথা ইমাম মাহদী (আ.)-এর সময়ে মানুষ বাহ্যিক ও আন্তরিক উভয় দিক থেকেই স্বনির্ভর থাকবে। এক দিকে অধিক সম্পদ সমভাবে বণ্টিত হবে অন্য দিকে অল্পে তুষ্টি মানুষকে স্বনির্ভর করবে।
এ সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেছেন: আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মদিকে স্বনির্ভর করবেন এবং সকলেই ইমাম মাহদী (আ.)-এর ন্যায়পরায়ণতার অন্তর্ভুক্ত হবে।
ইমাম মাহদী একজনকে বলবেন যে ঘোষণা কর: কার সম্পদের প্রয়োজন আছে? তখন সবার মধ্য থেকে মাত্র একজন বলবে, আমার! তখন ইমাম (আ.) তাকে বলবেন: ক্যাশিয়ারের কাছে যেয়ে বল ,‘ ইমাম মাহদী (আ.) আমাকে পাঠিয়েছেন এবং আমাকে টাকা দিতে বলেছেন। তখন ক্যাশিয়ার তাকে বলবে: তোমার জামা (আরবী লম্বা জামা) নিয়ে এস ,অতঃপর তার জামা অর্ধেক টাকায় ভরে দেওয়া হবে। সে ওই টাকা গুলোকে পিঠে করে নিয়ে যেতে যেতে ভাববে: উম্মতে মুহাম্মদির মধ্যে আমি কেন এত লোভী। অতঃপর সে তা ফিরিয়ে দিতে চাইবে কিন্তু তার কাছ থেকে তা গ্রহণ করা হবে না এবং তাকে বলা হবে: আমরা যা দান করি তা আর ফেরত নেই না। সূত্র: shabestan