IQNA

মহানবী(সা.) গোটা বিশ্ববাসীর জন্য ছিলেন রহমতস্বরূপ

21:28 - April 25, 2017
1
সংবাদ: 2602957
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পবিত্র কুরআনুল কারিমে বিশ্বনবীকে (সা.)উদ্দেশ করে ইরশাদ হয়েছে; وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ (হে নবী!) আমরা তো তোমাকে বিশ্বজগতের জন্য কেবলই রহমত বা অনুগ্রহস্বরূপ পাঠিয়েছি। (সূরা আল-আম্বিয়া- ১০৭)।
মহানবী(সা.) গোটা বিশ্ববাসীর জন্য ছিলেন রহমতস্বরূপ

বার্তা সংস্থা ইকনা: নবী-রাসূলদের অস্তিত্ব কাফির ও মুমিন সবারই জন্যই রহমতের ওসিলা। কারণ, তারা মহান আল্লাহর ইচ্ছা বা পরিকল্পনা ছাড়া অন্য কিছু বাস্তবায়ন করেন না। আর আল্লাহও তাঁর সব সৃষ্টির প্রতিই করুণাশীল। তিনি তাদের সবারই সৌভাগ্য ও মঙ্গল চান। অবশ্য সব সময়ই একদল মানুষ নিজের সৌভাগ্য ও কল্যাণ বুঝতে এবং সত্যকে মেনে নিতে অক্ষম হয় গোঁড়ামির কারণে। এভাবে তারা ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায় নিজের ক্ষতি করেন।  এই আয়াতের শিক্ষণীয় কয়েকটি দিক হল:

১। ইসলামের মহান নবী (সা.) মানুষের জন্য যা আল্লাহর পক্ষ থেকে এনেছেন তা তাদের জন্য মুক্তি ও চিরন্তন সৌভাগ্যের মাধ্যম।

২। হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বিশ্বের সব মানুষের জন্যই রাসূল। তিনি বিশেষ কোনো জাতি বা গোত্রের জন্য রাসূল নন। কারণ, ইসলাম ধর্মের শিক্ষা ও কর্মসূচীগুলো বিশ্বজনীন, বিশেষ কোনো অঞ্চলের জন্য সীমিত নয়

সর্বশেষ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কোনো একটি বিশেষ দল বা সম্প্রদায়ভুক্ত নবী ছিলেন না এবং তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের মানুষের জন্য বিশ্বনবী। কারণ তাঁর পর দুনিয়ায় আর কোনো নবীর আগমন ঘটবে না। এই মর্মে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন: অন্য নবীরা তাঁদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছিলেন, আর আমি বিশ্বের সব মানুষের জন্য প্রেরিত হয়েছি।

মহানবী (সা.) পৃথিবীতে আবির্ভূত হন এমন এক কঠিন সময়ে যখন সমগ্র পৃথিবী আইয়ামে জাহেলিয়াতের মধ্যে নিমজ্জিত ছিল। কোথাও শান্তি ছিল না, স্বস্তি ছিল না, ধর্মের নামে অধর্ম বিরাজ করছিল সর্বত্র। শিরক ও কুফরের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিল সবাই। নারীদের সম্ভ্রম লুণ্ঠিত হচ্ছিল অবলীলায়, কন্যাসন্তানকে দেয়া হচ্ছিল জীবন্ত কবর। মারামারি, হানাহানি, খুন-খারাবির উন্মত্ততায় গোটা সমাজ ছিল টালমাটাল, পৃথিবীর সেই করুণ অবস্থা নিরসনের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার প্রিয় হাবিব হজরত মুহাম্মদ(সা.)-কে সিরাজুম মুনিরা বা প্রদীপ্ত চেরাগরূপে প্রেরণ করলেন।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন: হে নবী! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি; আর আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাঁরই দিকে আহ্বানকারীরূপে এবং প্রদীপ্ত চেরাগরূপে।(সূরা আহজাব, আয়াত ৪৫-৪৬)। সূত্র: shabestan
প্রকাশিত: 1
পর্যালোচনা করা হচ্ছে: 0
প্রকাশযোগ্য নয়: 0
vcwvvcmn
0
0
20
captcha