বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: বনি আব্বাসের খিলাফতকালে তিনি অনেক বিজ্ঞ এবং প্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্বদের সাথে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন এবং ইয়াহিয়া বিন আকসাম, ইবনে আবি দাউদ’এর মতো প্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্বদেরকে তিনি পরাজিত করেছেন। ইমাম জাওয়াদ (আ) প্রথম ইমাম যিনি সবচেয়ে ছোট বয়সে ইমামতের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হন। (হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসি ইমামানে শিয়া, পৃষ্ঠা ৪৮৬)
ইমাম জাওয়াদ (আ) শৈশব-কৈশোরেই ছিলেন জ্ঞানে-গুণে, ধৈর্য ও সহনশীলতায়, ইবাদত-বন্দেগিতে, সচেতনতায়, কথাবার্তায় শীর্ষস্থানীয় মহামানব। একবার হজ্জ্বের সময় বাগদাদ এবং অন্যান্য শহরের বিখ্যাত ফকীহদের মধ্য থেকে আশি জন মদীনায় ইমাম জাওয়াদ (আ) এর কাছে গিয়েছিলেন। তাঁরা ইমামকে বহু বিষয়ে জিজ্ঞেস করে অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত ও সন্তোষজনক জবাব পেলেন। ফলে জাওয়াদ (আ)’র ইমামতিত্বের ব্যাপারে তাদের মনে যেসব সন্দেহ ছিল-তা দূর হয়ে যায়।
ইমাম জাওয়াদ (আ) বড়ো বড়ো পণ্ডিতদের সাথে এমন এমন তর্ক-বাহাসে অংশ নিতেন যা ছিল রীতিমতো বিস্ময়কর। একদিন আব্বাসীয় খলিফা মামুন ইমাম জাওয়াদ (আ) এর জ্ঞানের গভীরতা পরীক্ষা করার জন্যে একটি মজলিসের আয়োজন করে। সেখানে তৎকালীন জ্ঞানী-গুণীজনদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ঐ মজলিসে তৎকালীন নামকরা পণ্ডিত ইয়াহিয়া ইবনে আকসাম ইমামকে একটি প্রশ্ন করেন। প্রশ্নটি ছিল এই: যে ব্যক্তি হজ পালনের জন্যে এহরাম বেঁধেছে, সে যদি কোনো প্রাণী শিকার করে,তাহলে এর কী বিধান হবে?
ইমাম জাওয়াদ (আ) এই প্রশ্নটিকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে মূল প্রশ্নের সাথে সংশ্লিষ্ট ২২টি দিক তুলে ধরে উত্তরের উপসংহার টানেন। উত্তর পেয়ে উপস্থিত জ্ঞানীজনেরা অভিভূত হয়ে যান এবং ইমামের জ্ঞানগত অলৌকিক ক্ষমতার প্রশংসাও করলেন। শাবিস্তান