মালেক আশতারের প্রতি মাওলা আলীর মূল্যবান কিছু নির্দেশ
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আ.) মালেক আশতারকে লেখা চিঠিতে বলেন, তুমি কখনোই মানুষের ত্রুটি অন্বেষণ করতে যেও না। এমনকি কেউ যদি তোমার কাছে কারও বদনাম করে তাহলে তুমি তাকে তোমার থেকে দূরে সরিয়ে দিবে।
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: হযরত আলী (আ.) তার পক্ষ থেকে মিশরে নিযুক্ত গভর্নর মালেক আশতারের কাছে এক চিঠিতে লিখেছিলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি মানুষের ক্ষমতা বা যোগ্যতা এবং সহনশীলতা বৃদ্ধি করে, অন্যদিকে দারিদ্র্যের কারণে জনপদগুলো ধ্বংস হয়ে যায়৷
মালেক আশতারের কাছে তিনি লিখেছেন, সমাজে বিভিন্ন পর্যায়ের ও শ্রেণীর মানুষ রয়েছে, এই গ্রুপ বা শ্রেণীগুলো যে পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল তা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে৷ সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে অমুসলিম সম্প্রদায় এবং ব্যবসায়ীসহ দরিদ্র বা দুর্বল ও বঞ্চিত শ্রেণীর মানুষ-এ সব গ্রুপই এক পর্যায়ের নয়৷
মহানবীর (সা.) আহলে বাইতের সদস্য আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলীর (আ.) মতে: এ সব শ্রেণীরই নির্দিষ্ট কিছু অধিকার রয়েছে, আর এ অধিকারগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করা শাসকদের কর্তব্য ইসলামের দৃষ্টিতে উন্নয়ন একটি বহুমুখী প্রক্রিয়া।
অঙ্গীকার রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলী (আ.) মালেক আশতারের কাছে লেখা চিঠিতে বলেছেন: বহু বিষয়ে মতভেদ থাকলেও অত্যাবশ্যক বা অবশ্যই পালন করতে হবে এমন ধর্মীয় দায়িত্বগুলোর মধ্যে অঙ্গীকার পূরণের বিষয়ের মত আর কোনও বিষয়ে এতো বেশি মতৈক্য নেই মানবজাতির মধ্যে।
আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলী (আ.) মালেক আশতারকে লেখা চিঠিতে বলেন: তোমার প্রধান কাজ হচ্ছে জনগণের সাথে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং তাদের সকল সমস্যার কথা শোনা এবং তার সমাধান করা।
মালেক আশতারের উদ্দেশে তিনি লেখেন: আমি তোমাকে আল্লাহকে ভয় করার নির্দেশ প্রদান করছি, জীবনের সর্ববিধ কাজে আল্লাহ এবং তাঁর প্রদত্ত ব্যবস্থাকে সবার ওপরে স্থান দেবে।
