
বার্তা সংস্থা ইকনা: জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন ইসলামী দল ও সংগঠন। এতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামি যুব আন্দোলন, সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদসহ কয়েকটি ইসলামী দলের নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।
হেফাজতে ইসলামের পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচিকে ঘিরে জুমার নামাজের আগ থেকেই হাজার হাজার নেতা-কর্মী বায়তুল মোকাররমে জড়ো হতে থাকেন। সেইসঙ্গে এ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষও অংশ নেয়।
নামাজ শেষে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধ না হলে মিয়ানমারের পণ্য বর্জন করতে হবে। সরকারকে মিয়ানমারের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে যুদ্ধ হবে। রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে রক্ষায় প্রয়োজনে লং-মার্চ করা হবে। আমাদের ভাইদেরকে রক্ষা করতে আমরা প্রস্তুত।
তারা আরও বলেন, যারা বিনা ভোটে নির্বাচিত তাদের কিভাবে বিশ্বাস করব। সরকারের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করলে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা ত্রাণ পাবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাই সবাইকে ত্রাণ বিতরণের সুযোগ দিতে হবে।
এ সময়, রোহিঙ্গা নির্যাতন ও গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন হেফাজত নেতারা। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করা হবে বলে জানান তারা।
এদিকে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন ও গণহত্যার জন্য দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিকে দায়ী করে আন্তর্জাতিক আদালতে তার বিচার চেয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন।
আজ (শুক্রবার) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানায় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। এতে নাগরিক পরিষদ, ভূমিহীন আন্দোলন, বাংলাদেশ গারো সমঅধিকার সংস্থা, জাতীয়তাবাদী চালক দল, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে।
এসব কর্মসূচি থেকে চলমান সংকট সমাধান, চীন-ভারতসহ সকল প্রতিবেশী দেশকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া, গণহত্যার জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও সু চির আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করা, রাখাইন রাজ্যকে জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণে নেয়া, রোহিঙ্গাদের নিজদেশে ফিরিয়ে নেয়া, প্রয়োজনী ত্রাণ সহায়তা দেয়াসহ নানা দাবি জানানো হয়।
অন্যদিকে, নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে তৎপর হতে সরকারের দেরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিবি, বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের অবস্থা ও শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় তিন সংগঠন ও জোটের প্রতিনিধি দলের সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। পার্সটুডে