বার্তা সংস্থা ইকনা: দেশটির মুসলিম অধ্যুষিত উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের জিনজিয়াং এলাকায় এই নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
‘রেডিও ফ্রি এশিয়া’ নামক দেশটির একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে- কাশঘর, হোতান ও অন্যান্য মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় সরকারের নির্দেশ পালন করতে শুরু করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে মুসলমানদের পবিত্র কুরআনসহ প্রার্থনার কাজে ব্যবহার করা উপকরণগুলো।
আরো বলা হয়েছে, মুসলমানদের ধর্মীয় উপকরণগুলো পুলিশের কাছে জমা দেয়ার জন্য ধর্মগুরুদের কাছে লিখিত নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বহিষ্কৃত ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস এর মুখপাত্র দিলক্সাট র্যাক্সিট।
এছাড়া কুরআনের সব কপি সরকারি প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য জোরদার প্রচার চালানো হচ্ছে। দেশটির জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উই চ্যাটেও চলছে প্রচার।
এ বছরের শুরুর দিকেই জিনজিয়াং প্রশাসনের তরফ থেকে ইসলাম বিরোধী অভিযান শুরু হয়। পাঁচ বছর আগের সব কুরআন নষ্ট করে দেয় প্রশাসন। প্রশাসনের অভিযোগ ছিল যে, পবিত্র কুরআনে বেশকিছু চরমপন্থী বক্তব্য রয়েছে।
চীনের মুসলমানেরা বিশেষ করে উইঘুরের মুসলমানেরা সেদেশের সরকারের তীব্র বৈষম্যের মুখে অবস্থান করছে। চীনের সরকার চরপন্থী প্রতিরোধের বাহানায় সংখ্যালঘু মুসলিমদের ধর্মী আমলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখা, হিজাব এবং কুরআন প্রশিক্ষণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।