IQNA

ইমাম মাহদীর কেউ আছ আমাকে সাহায্য করো ডাকে সাড়া দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে

16:15 - October 02, 2017
সংবাদ: 2603965
হিজরি ৬১ সালের ১০ই মহররম কারবালার ময়দানে এরকমই একটি যুগান্তকারী ঘটনা ঘটেছিলে। কারবালার মরুপ্রান্তরে ইমাম হুসাইন (আ.) ও তার ৭২ জন সাথী যে বীরত্বগাঁথা সৃষ্টি করেছিলেন, তা ইতিহাসের একটি নির্দিষ্ট ক্ষণে শুধুমাত্র একটি যুদ্ধ ছিলো না। ঐ বীরত্বগাঁথার ব্যাপ্তি এত বিস্তৃত ছিলো যে, তা স্থান ও কালকে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (আ.) অত্যাচারী শাসক এজিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেছেন, আমি সৎকাজের আদেশ দান ও অসৎ কাজে বাধা প্রদানের উদ্দেশ্যে সংগ্রামে নেমেছি।

কারবালার ময়দানে ইমাম হুসাইন (আঃ) ও তাঁর সঙ্গী-সাথীগণ ধৈর্যের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছেন। কারবালায় শাহাদাতের কয়েকদিন আগে থেকে তিনি বিভিন্নভাবে সাথীদের ধৈর্যধারণের বিষয়টি শিক্ষা দিয়ে আসছিলেন।

পাপাত্মা এজিদের বাহিনী কারবালায় যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিলো তা দেখে সহ্য করা কোন মানুষের পক্ষেই হয়তো সম্ভব নয়। কিন্তু আল্লাহর ওপর নির্ভরতা ও তার প্রতিশ্রুত পুরস্কার প্রাপ্তির আশায় ইমামের সাথীগণ এ ব্যাপারে ছিলেন নির্বিকার ও দৃঢ়চিত্ত।   

শত্রুবাহিনী যখন ইমামের দুধের শিশু থেকে শুরু করে তরুণ ও যুবক সন্তানদের এবং তার প্রাণপ্রিয় ভাইকে হত্যা করে চলছিলো, তখন আশুরার মহান বিপ্লব সফল করার জন্য ইমামের আকাঙ্ক্ষা ও শপথ আরো কঠিন হচ্ছিলো। প্রিয় নবীজির বংশধরদের শাহাদাৎ তাকে বিন্দুমাত্র তাঁর অবস্থান থেকে টলাতে পারে নি।

ইমাম সাজ্জাদ (আ.) বলেছেন: হোসাইন (আ.) এবং তাঁর একনিষ্ঠ অনুসারীগণ কারবালার ময়দানে ছিলেন নির্ভীক। তাদেঁর চেহারা উজ্জ্বল ছিল। তাদেঁর দেহের প্রতিটি অঙ্গ ছিল দৃঢ় ও অবিচল। তাদেঁর আত্মা বা প্রাণ ছিল প্রশান্ত। শত্রুরা তাদেঁরকে দেখে বলাবলি করছিলো: দেখো দেখো! হোসাইন মৃত্যুভয়ে বিন্দুমাত্র শঙ্কিত নয়।

ইমাম হুসাইনের দলে মাত্র ৭১ জন খোদায়ী মানুষ ছিলেন। তারা ইমামের জন্য তাদের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিলেন। ইমাম মাহদীও(আ.) ঠিক সেই রকম ৩১৩জন সাথীর অপেক্ষায় আছেন যারা ইমামকে তাদের সব কিছু উজাড় করে সাহায্য করবে।

সুতরাং যতদিন ইমাম মাহদী(আ.), ইমাম হুসাইনের(আ.) মত অতি বিশ্বস্ত সাথী পাবেন না ততদিন তার আবির্ভাব ঘটবেন না।
captcha