
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মহররম মাস এলেই প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মু’মিনের অন্তরে কারবালার মরুপ্রান্তরে সাইয়েদুশ শোহাদা ইমাম হুসাইন (আ.) ও তার সঙ্গী-সাথিদের মর্মান্তিক শাহাদতের কথা স্মৃতিপটে ভেসে উঠে। অনেকে সে মর্মান্তিক শাহাদতে ঘটনাবলী নিজেদের স্মৃতিপটে স্মরণ করে অশ্রুসিক্ত হন।
মহানবীর (সা.) প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র সাইয়েদুশ শোহাদা ইমাম হুসাইন (আ.) ইয়াজিদের কবল থেকে তার নানার কষ্টার্জিত ইসলামকে বাচাতে কারবালায় জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। তাই এ মহান ইমামের (আ.) ও তার পরিবারবর্গের স্মরণে শোক ও আযাদারির বিশেষ গুরুত্ব ও সওয়াব রয়েছে। আর সম্পর্কে অনেক সহীহ হাদীস ও রেওয়ায়েতও বর্ণিত হয়েছে।
মাসুম ইমামগণ (আ.) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাইয়েদুশ শোহাদা ইমাম হুসাইনের (আ.) শাহাদতের স্মরণে ক্রন্দন ও আযাদারির সওয়াব ও প্রতিদান অপরিসীম; স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা যে প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রাসূল (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে,
ইমাম হুসাইনের শাহাদতের মাধ্যমে মু’মিনদের অন্তরে যে উত্তাপের সৃষ্টি হয়েছে, তা কখনও নির্বাপিত হবে না। (দ্র: মুসতাদরাকুল ওসায়েল, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৩১৮)
ইমাম জয়নুল আবেদিন (আ.) ইমাম হুসাইনের (আ.) শাহাদতের স্মরণে ক্রন্দনের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেছেন: যদি কোন মু’মিন ইমাম হুসাইনের (আ.) শাহাদতের কথা স্মরণ করে ক্রন্দন করে, তাহলে এ ক্রন্দনের মধ্য দিয়ে তার চোখ থেকে যে অশ্রু ঝরবে, সেগুলোর প্রতিটি ফোটার জন্য আল্লাহ তায়ালা বেহেস্তে তার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করবেন এবং সেখানে সে চিরন্তন অবস্থান করবে। (দ্র: সওয়াবুল আমাল, ১ম খণ্ড, পৃ. ১০৮ এবং মুনতাখাবুল মিযানুল হিকমাহ, পৃ. ২৮)
এছাড়া ইমাম রেজা (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে: মহররম মাস আসলে কেউ আমার পিতা ইমাম মুসা কাজিম (আ.) কে কেউ হাসি-খুশি দেখত না। প্রথম মহররম থেকে দশই মহররম পর্যন্ত তিনি শোক ও বেদনায় সিক্ত থাকতেন। ১০ই মহররম ক্রন্দন ও আহাজারি করতেন এবং আর্তনাদ করে বলতেন আজ সেই দিন যেদিন ইমাম হুসাইনকে (আ.) মর্মান্তিকভাবে শহীদ করা হয়েছে। (দ্র: ওসায়েলুস শিয়া, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৩৯৪)