
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আল্লাহ তায়ালা এ পৃথিবীতে মানুষকে সৃষ্টির পর তাদের হেদায়েত ও দিকনির্দেশনার উদ্দেশ্যে যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে (আ.) পাঠিয়েছেন। আর হযরত মুহাম্মাদের (সা.) আগমনের মধ্য দিয়ে নবুয়ত ও রেসালতের পরিসমাপ্তি ঘটে। কিন্তু মানব জাতির হেদায়েত ও দিকনির্দেশনার গুরু দায়িত্ব তো থেমে থাকতে পারে না। এ কারণে নবুয়তের পরিসমাপ্তির পর আল্লাহর নির্দেশে রাসূলের (সা.) স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ইমামতিধারার সূচনা হয়েছে। আমিরুল মু’মিনিন আলী (আ.) হলেন ইমামতিধারার সর্বপ্রথম ইমাম এবং ইমাম মাহদী (আ.) হলেন সর্বশেষ ইমাম। প্রত্যেক ইমামগণই নিজ নিজ যুগে মানুষকে গোমরাহি ও বিপথগামী থেকে রক্ষার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা ও সাধনা চালিয়েছেন।
ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম রক্ষায় ইমাম হুসাইনের (আ.) নজিরবিহীন অবদানের কথা উল্লেখ করতে হলে এ বিষয়টি সর্বাগ্রে বলা প্রয়োজন যে, রাসূলের (সা.) ওফাতের পর ৬১ হিজরীতে মুয়াবিয়ার নরাধম পুত্র ইয়াজিদ যখন ইসলামকে ধ্বংস করার পায়তারা করছিল, তখন সাইয়েদুশ শোহাদা ইমাম হুসাইন (আ.) নিজের পবিত্র রক্ত বিসর্জন দিয়ে ইসলাম ও সমস্ত আসমানি ধর্ম রক্ষা করেছেন।