
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম হুসাইন(আ.) আশুরার দিনও কারবালার ময়দানে যুদ্ধের মধ্যেও জামাতের সাথে নামাজ আদায় করনে। সুতরাং আমরা যারা সেই ইমামের চল্লিশা পালন করতে যাচ্ছি তাদেরকেও এই বিষয়ের বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। এবং সবাই যেন দেখতে পায় যে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় হচ্ছে।
সকল জিয়ারতকারীদের সাথে সুন্দর ও ভাল আচরণ করা হচ্ছে এই শোভা যাত্রার আরেকটি প্রধান দায়িত্ব।
গোটা সফরে হাসি ঠাট্টা বাদ দিয়ে শোকাচ্ছন্ন থাকা। আর সর্বদা আল্লাহর যিকির পাঠ করা যেমন: «سبحان الله»، «لا اله الا الله»، «الحمدالله»، «الله اکبر»، «صلوات»
খাবার অপচয় না করা এবং সেখানকার পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা। আরেকটি বড় কাজ হচ্ছে ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের জন্য বেশী করে দোয়া করা।
সূরা আলে ইমরানের ৬৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহপাক বলেছেন: قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَلَّا نَعْبُدَ إِلَّا اللَّهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُولُوا اشْهَدُوا بِأَنَّا مُسْلِمُونَ
হে নবী! আপনি ঐশী গ্রন্থের অনুসারী বা আহলে কিতাবদের বলুন,আমাদের ও তোমাদের মধ্যে যে বাক্যে মিল আছে,তার দিকে এসে যেন আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো উপাসনা না করি এবং তার সাথে কোন শরীক বা অংশীদার স্থির না করি এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে আমরা পরস্পর কাউকে যেন প্রভু হিসেবে গ্রহণ না করি। এরপর তারা যদি ফিরে যায়,তবে তাদের বলুন সাক্ষী থাক যে আমরাই মুসলমান বা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী।
পবিত্র কুরআন আমাদেরকে আহলে বাইতের অনুসারীদের সাথে অভিন্ন বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানায়। তাই মুসলমানদের মধ্যে যে কোন ধরনের বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা ইসলাম ও কুরআনের বিরোধী।
সমস্ত মানুষই সমান। তাই কেউই কারো ওপর প্রভুত্ব করার অধিকার রাখেনা। মানুষের ওপর শুধুমাত্র আল্লাহর আইনের কর্তৃত্বই বৈধ।
আহলে কিতাব বা ঐশী গ্রন্থের অনুসারীদের ইসলামের দিকে আহবান জানাতে হবে। এক্ষেত্রে সমস্ত লক্ষ্য অর্জিত না হলেও আংশিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখা ঠিক হবে না। শাবিস্তান