IQNA

কাশ্মীরি সংগ্রামের প্রতি ওআইসির পূর্ণ সমর্থন

17:07 - November 10, 2017
সংবাদ: 2604286
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)’র মহাসচিব ড. ইউসাফ বিন আহমদ আল-উসামিন কাশ্মীরি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার লাভের সংগ্রামের প্রতি সংস্থার পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন।
কাশ্মীরি সংগ্রামের প্রতি ওআইসির পূর্ণ সমর্থন
বার্তা সংস্থা ইকনা: পাকিস্তান কনস্যুলেটের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার জেদ্দায় যৌথভাবে আয়োজিত এক সেমিনার এবং ছবি প্রদর্শনীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। মহাসচিব কাশ্মীরি জনগণের বিরুদ্ধে শক্তিপ্রয়োগ বন্ধ করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের কনসাল জেনারেল শাহরিয়ার আকবর খান বলেন, ১৯৪৭ সালে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর অবৈধ অনুপ্রবেশের স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তিনি ভারতীয় দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে কাশ্মীরি জনগণকে সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
‘কাশ্মীরি জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধি’ সৈয়দ ফয়েজ নকশবন্দি শ্রোতাদের ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের বিরাজমান পরিস্থিতি এবং অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে অবগত করেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং ওআইসিকে কাশ্মীরিদের সংগ্রামের প্রতি সমর্থন প্রদানের আহ্বান জানান।
সমাপনী বক্তব্যে সৌদি আরবে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত খান হাশেম বিন সিদ্দিক কাশ্মীরি জনগণের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করার জন্য ওআইসি এবং সৌদি আরবকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি ভারতের দখলদারিত্বে কাশ্মীরে জনগণের দুর্দশা তুলে ধরে ভারত যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে বাধ্য হয় সে উদ্যোগ গ্রহণ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কাশ্মীরি জনগণকে তাদের ঐতিহাসিক সংগ্রামে পাকিস্তান নৈতিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাবে।
কাশ্মীর কমিটি জেদ্দার সদস্যরা একটি প্রস্তাব পেশ করে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে প্রয়াস দ্বিগুণ করার জন্য ওআইসির প্রতি আহ্বান জানান।
গত পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত ভিত্তিতে অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ছবি প্রদর্শনী ও সেমিনার হচ্ছে।
এবারের অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আল-আলিম, ওআইসি মহাসচিবের জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি, সৌদি কর্মকর্তা, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পাকিস্তান কনস্যুলেট চলতি বছর কাশ্মীর কালো দিবস উপলক্ষেও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কাশ্মীরে ২,০৮০ গণকবর চিহ্নিত করার আহ্বান
ভারত অধিকৃত কাশ্মীর সীমান্তে চিহ্নিত না হওয়া অন্তত ২,০৮০ গণকবর চিহ্নিত করার জন্য রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কাশ্মীরের মানবাধিকার সংস্থা।
নিখোঁজ সন্তানদের অভিভাবকদের সংগঠন (এপিডিপি) মানবাধিকার কমিশনকে জানিয়েছে, সেখানে ৩,৮৪৪টি গণকবর রয়েছে। তার মধ্যে ২,৭১৭টি পুঞ্চ জেলায় এবং ১,১২৭টি রাজোরি জেলায়।
মানবাধিকার কমিশন রাজ্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত না করা ২,০৮০টি গণকবর থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে নিখোঁজদের স্বজনের ডিএনএর সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে।
এর আগে ২০১১ সালে গণকবরগুলো চিহ্নিত করার জন্য মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল। সে সময় সরকারের গঠন করা বিশেষ একটি দল জানিয়েছিল, কাশ্মীরের উত্তর এলাকায় ৩৮টি স্থানে অজ্ঞাত পরিচয়ে দুই হাজার সাতশ ৩০ জনের মরদেহ পুঁতে রাখা হয়েছে।
বর্তমানে মানবাধিকার কমিশন বলছে, কমিশনের পক্ষ থেকে একই ধরনের সিদ্ধান্ত জানানোর ব্যাপারে কোনো দ্বিধা নেই। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যেই তারা সরকারকে অনুরোধ করেছেন। আরটিএনএন
captcha