
বার্তা সংস্থা ইকনা: এর আগে শনিবার রাজধানী সানায় ওষুধ বহনকারী বিমান প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। তারপরেই খাদ্যসামগ্রী বোঝাই জাহাজ পৌঁছায় সেখানে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৬ নভেম্বর ইয়েমেনের ওপর অবরোধ আরোপ করে সৌদি জোট। দেশটির সঙ্গে স্থল, সাগর এবং আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়া হয়।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা রিয়াদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি কোথাও হামলা চালানোর আগেই এটি ধ্বংস করে দিয়েছে সৌদি।
কয়েক হাজার টন খাদ্য সামগ্রী বোঝাই জাহাজটি সালেফ বন্দরে পৌঁছেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক স্টিফেন অ্যান্ডারসন বিবিসিকে জানিয়েছেন, ওই জাহাজে যে পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী রয়েছে তা ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের প্রায় ১৮ লাখ মানুষের জন্য যথেষ্ট।
ইয়েমেনে ২০ লাখের বেশি মানুষের জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। এদের মধ্যে ১১ লাখই শিশু। তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা ৪ লাখ শিশু মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, অবরোধের কারণে ৭ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষে পতিত হবে। আর এর একটা বড় অংশই শিশু।
ইয়েমেন থেকে সৌদি অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জাতিসংঘেরদারিদ্রপীড়িত ইয়েমেনের ওপর থেকে সৌদি অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোটের যুদ্ধ নিতান্তই বোকামি।
গুতেরেস বলেন, ইয়েমেনের ওপর আরোপিত অবরোধের অবশ্যই ইতি টানতে হবে। ইয়েমেনের সমুদ্র, আকাশ ও স্থলপথ খুলে দেয়ার জন্য তিনি সৌদি আরব এবং তার মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতসিংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, অ্যান্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আল-মুয়াল্লিমিকে লেখা এক চিঠির মাধ্যমে এ আহ্বান জানিয়েছেন।
ডুজারিক বলেন, ইয়েমেনের ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার না করায় জাতিসংঘ মহাসচিব খুবই মর্মাহত। ইয়েমেন যুদ্ধ বন্ধ ও অবরোধ প্রত্যাহারের বিষয়ে সৌদি কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করায় মহাসচিব গুতেরেস হতাশ হয়েছেন।
ইয়েমেনের ওপর সৌদি আগ্রাসন ও দেশটির চলমান দুর্ভিক্ষ এবং জনদুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে ডুজারিক বলেন, এসবই হচ্ছে মানবসৃষ্ট সংকট। আরটিএনএন