IQNA

ভাষার স্বীকৃতি পাচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলমানেরা

15:31 - December 20, 2017
সংবাদ: 2604601
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিগত কয়েক দশক ধরে রোহিঙ্গাদের জাতিগত অস্তিত্বকে অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার। তবে আশার কথা হল, অত্যাচারিত সংখ্যালঘু এই জনগোষ্ঠী তাদের অস্তিত্বের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে নিজেদের ভাষার মৌলিক বর্ণমালা ডিজিটাল-রূপ পেতে যাচ্ছে। তবে এই স্বীকৃতির নেপথ্যে রয়েছে মোহাম্মাদ হানিফ নামের এক ব্যক্তির অবদান। ইসলামের এই পণ্ডিত ভাষাটিকে আরবি, উর্দু থেকে সম্পূর্ণ আলাদা বর্ণমালায় প্রকাশ করেছে।


বার্তা সংস্থা ইকনা: রাখাইন থেকে পালিয়ে যাওয়া এই স্কলার বহুদিন ধরেই রাখাইন ভাষা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছে। তারই অবদানে ভূমিহীন এই জনগোষ্ঠীর ভাষার নিজস্ব প্রতিফলন ‘ইউনিকোড’ এর মাধ্যমে পরিণত রূপ পাচ্ছে।
এখন থেকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃত যেকোনো মাধ্যমে লেখার ক্ষেত্রে তারা তাদের নিজেদের বর্ণমালা ব্যবহার করেই লেখার সুযোগ পাবেন। বর্ণমালার পাশাপাশি তারা তাদের নিজস্ব সংখ্যাও লিখতে পারবেন।
রোহিঙ্গাদের জন্য নিজস্ব ভাষায় ই-মেইল, এসএমএস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের মতামত প্রকাশের সুযোগ পাওয়া অনেক বড় একটি পদক্ষেপ। যেখানে ১৯৮০ সালের আগপর্যন্ত তাদের ভাষার কোনও লিখিতরূপ ছিল না। এর আগে আরবি, উর্দু, ইংলিশ বর্ণে লেখা হত, যা পরিচিত ছিল ‘রোহিঙ্গা-লিশ’ হিসেবে পরিচিত ছিল।
রোহিঙ্গাদের বর্ণমালা নিয়ে কর্মরত মোহাম্মদ হানফি বলনে, একটি জনগোষ্ঠীর যখন দললি-দস্তাবেজের মত নিজস্ব ভাষায় লিখিত কোনও সংরক্ষিতরূপ বা প্রমাণ থাকে না, তখন চাইলেই খুব সহজে সে জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব নাকচ করে দেওয়া যায়। তিনি আরো জানান, বর্তমানে ৫০টি বই এই রূপে লেখা হচ্ছে।

iqna

captcha