বার্তা সংস্থা ইকনা: বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, তারা ওই গ্রামের স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া কিছু ছবি সংগ্রহ করেছে। ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেবার কিছু ভিডিও-ও তাদের হাতে এসেছে।
বার্তা সংস্থাটি বলেছে, স্যাটেলাইটে পাওয়া চিত্রের সঙ্গে এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের বর্ণনা মিলে যাচ্ছে। স্যাটেলাইটের চিত্র এবং রোহিঙ্গাদের ভাষ্য অনুযায়ী অন্তত পাঁচটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে।
রাখাইনে সেনাবাহিনীর জ্বালাও-পোড়াওয়ের আগে ও পরে তোলা স্যাটেলাইট ছবি
এপি'র খবরে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থানরত যেসব রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই বলেছেন যে গু দার পিন গ্রামের উত্তরদিকে যে প্রবেশপথ রয়েছে, সেখানে তারা তিনটি বড় গণকবর দেখেছেন। অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা জানিয়েছেন যে, পাহাড়ের কাছে একটি কবরস্থানে তারা দু টি কবর দেখেছেন। জায়গাটি গ্রামের একটি স্কুলের কাছাকাছি। গ্রামে হত্যাকাণ্ড চালানোর পর একশ’র বেশি সেনা ওই স্কুলে তাদের ঘাটি গেড়েছিল।
রাখাইনের গু দার পিন গ্রাম থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী মোহাম্মদ লাল মিঞা
ওই গ্রাম থেকে যেসব রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে জীবন বাঁচিয়েছেন, তাদের ধারণা- আগস্ট মাসের ২৭ তারিখের হত্যাকাণ্ড ছিল বেশ পরিকল্পিত। হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য সেনারা শুধুই রাইফেল, ছুরি, গ্রেনেড এবং রকেট লঞ্চার আনেনি- সঙ্গে অ্যাসিডও নিয়ে এসেছিল তারা। অ্যাসিড দিয়ে নিহতদের মুখমণ্ডল এবং শরীরের অংশ ঝলসে দেয়া হয়, যাতে তাদের চিহ্নিত করা না যায়। প্রায় ২০০ সেনা ওই হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।