IQNA

আমেরিকার প্রথম হিজাবী টিভি রিপোর্টার তাহেরা

15:03 - March 10, 2018
সংবাদ: 2605232
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমেরিকার প্রথম হিজাবধারী টিভি রিপোর্টার হয়ে ইতিহাস গড়লেন দেশটির মুসলিম নারী তাহেরা রহমান।



বার্তা সংস্থা ইকনা: ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের আইওয়া শহরের সাংবাদিক তাহেরা এর আগে দুই বছর ডব্লিওএইচবিএফ টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন।

মার্কিন গণমাধ্যম টুডে’র এক প্রতিবেদনে এ বলা হয়েছে। প্রযোজক হিসেবে কাজ করে পরে তিনি রিপোর্টার হওয়ার জন্য আবেদন করেন।

ভয়েস অব আমেরিকাকে তাহেরা বলেন, ‘আমি এভাবেই টিভি নিউজ করতে ভালোবাসি।’

তবে অনেকে- এমনকি কিছু প্রযোজকরাও তাকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে এখনো হিজাবধারী টিভি রিপোর্টার দেখার মতো পরিবেশ হয়নি। অবশ্য এ সত্ত্বেও ২৭ বছরের এই নারী আবেদন করেন ও প্রতিষ্ঠান তাকে নিয়ে নেয়।

তাহেরা বলেন, ‘আমার কাছে এটা স্বাভাবিকই মনে হয়েছে। আমি আমার মাকেই অনুসরণ করেছি। আমি জানতাম, আমার মতো কাউকেই আগে আর ক্যামেরার সামনে দেখা যায়নি। অন্তত মার্কিন টিভিতে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আসার পরিবারে অনেকেই আছেন, যারা হিজাব পরেন না। কিন্তু আমার মা ও খালারা পরেন। এটা হচ্ছে ইসলামের বিধান।’

১২ বছর বয়স থেকে হিজাব পরতে শুরু করেন তাহেরা। এটাকে নিজের ‘পছন্দ’ বলে আখ্যা দেন তিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এটা করা ‘কঠিন’ বলেও স্বীকার করেন এই নারী।

তিনি বলেন, ‘আমি খুব সচেতনভাবেই হিজাব পরি। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কও রেখেছি।’

তাহেরা মা-বাবা পাকিস্তান ও ভারত থেকে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে বসবাস শুরু করেন। এই নারীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, তাকে মেধার কারণেই চাকরি দেয়া হয়েছে। মাইক মিকেলের ভাষায়, এটা তাহেরার প্রাপ্য। তিন হাজার জনের মধ্য থেকে বাছাই করে তাকে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে তাহেরা অভিনন্দন জানিয়ে অনেকে টুইট করলেও কেউ আবার অনেকে তার প্রতি ইসলামবিদ্বেষী মনোভাবও প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশি দুই হিজাবী তরুণীর ব্রিটেনে বিস্ময়কর সাফল্য!

ঢাকা: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মেয়ে শরিফাহ রহমান ও সেলিনা বেগম ব্রিটেনে ভিন্ন ক্ষেত্রে দারুণ চমক দেখিয়েছেন।

সুনামগঞ্জের মেয়ে শরিফাহ রহমান মাত্র ১৮ বছর বয়সে ব্রিটেনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে তিনি রীতিমতো চমকে দিয়েছেন সবাইকে।

অন্যদিকে ব্রিটেনের সম্মানজনক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থী সেলিনা বেগম (১৬) ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

জানা যায়, গেল সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ব্রিটেনের নর্থ ইস্ট ইংল্যান্ডের ডারলিংটন বার কাউন্সিলের উপ নির্বাচনে তিনি ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার এ বিজয়ে উৎফুল্ল সেখানকার বাঙালি কমিউনিটির লোকজন।

শরিফাহ’র পৈত্রিক বাড়ি সুনামগঞ্জের বরমরা গ্রামে। জীবিকার তাগিদে বাবা লোকমান খান ব্রিটেনে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন অনেক আগেই। শরিফাহ’র জন্মও ব্রিটেনের ডালিংটন শহরে। বেড়ে ওঠাও সেখানে। সাত ভাইবোনের মধ্যে শরিফাহ সবার ছোট।

শরিফাহ রহমান স্থানীয় রেড হল ও লিংফিল্ড ওয়ার্ড থেকে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন টোরি পার্টিও জোনাথন ডালস্টন।

এছাড়াও ছিলেন লিবারেল ডেমোক্রেটস দলের হ্যারি লংমুর, গ্রিন পার্টির মাইকেল ম্যাকটিমনি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কেভিন ব্রা।

নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর সবচেয়ে কমবয়সী এই কাউন্সিলরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন স্থানীয় এমপি জেনি চাপম্যান ও এন্ড্রু গাইন। ব্রিটেনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রথম এমপি রোশনারা আলীর অভিনন্দন ও প্রশংসায়ও ভেসেছেন শরিফাহ।

মাত্র কয়েক মাস আগে শরিফাহ রহমান ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়ে উর্ত্তীণ হন। এই সাফল্যের কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আরেক চমক দেখালেন। আরটিএনএন

 

captcha