শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যখন আল্লাহ তায়ালা স্বীয় বান্দার দোয়াকে পছন্দ করেন (বান্দার দোয়া কবুলের ইচ্ছা করেন), তখন তখন ফেরেশতাদেরকে বলেন যে, আমার বান্দার প্রার্থনাকে গ্রহণ করে নাও। কিন্তু এক্ষেত্রে মোটেও তাড়াহুড়া করবে না। কারণ আমি আমার বান্দা আওয়াজ ও আর্চনাকে পছন্দ করি।' এ হাদীসে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লাহ তার বান্দার আওয়াজ ও আর্চনাকে পছন্দ করেন; আর তাই বিলম্বে বান্দার প্রার্থনার জবাব দেন।
হাদীসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালা নিজেই বর্ণনা করেছেন যে, আমার বান্দা যখন আমার নিকট কিছু কামনা করে, তখন আমি মুহূর্তেই তার কামনাকে পূরণ করতে পারি। আবার কখনও বান্দার আওয়াজ এবং আকুতি-মিনতি আমার নিকট ভাল লাগে; তখন আমি তার আওয়াজকে শোনার জন্য তার প্রার্থনা কবুলের ক্ষেত্রে বিলম্ব করি। সুতরাং আল্লাহ এটা পছন্দ করেন যে, মানুষ তার অক্ষমতা ও অসহায়ত্ব সম্পর্কে সজাগ থাকুক এবং নিজের মুখাপেক্ষী অবস্থা অমুখাপেক্ষী একমাত্র স্বত্বা আল্লাহর নিকট প্রকাশ করুক।
হাদীসে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, হিকমত ও কল্যাণ হচ্ছে মানুষের কিছু প্রার্থনা এ দুনিয়াতে কবুল হবে না। হয় উক্ত প্রার্থনা তার জন্য মঙ্গলজনক নয়; অথবা আল্লাহ পরকালে এ প্রার্থনার বদলে আরও অধিকতর কিছু দান করবেন। মাসুমীন (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মানুষ যখন পরকালে এ দুনিয়ার আমলের প্রতিদান গ্রহণ করবে, তখন অন্তর থেকে কামনা করবে যে, হায় যদি দুনিয়াতে তার কোন দোয়ার প্রতিদান না দেয়া হত, সব প্রতিদান পরকালের জন্য গচ্ছিত থাকত।
কাজেই এ বিষয়টি আমাদের নিকট খুবই স্পষ্ট যে, আমাদের কোন কোন দোয়া আল্লাহর দরবারে বিলম্বে কবুল হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে- আল্লাহ আমাদের আওয়াজ ও আর্চনাকে পছন্দ করেন এবং তিনি চান আমরা যাতে অব্যাহতভাবে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করতে থাকি।