বার্তা সংস্থা ইকনা: বিভিন্ন হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র রজব ও শাবানে রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। রমজানে অধিক ইবাদতের জন্য সময়-সুযোগ বের করতেন। মানসিকভাবে তৈরি হতেন। আর এ কারণেই তিনি পবিত্র শাবানের দিন, তারিখ গুরুত্বসহকারে হিসাব রাখতেন।
অনেক হাদিসেই বর্ণিত হয়েছে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র শাবানের চাঁদের দিন- তারিখের হিসাব রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। সুতরাং পবিত্র শাবান মাসের দিন-তারিখের হিসাব রাখাটাই সুন্নত এবং মুমিনদের করণীয়। পবিত্র শাবান মাসে অধিকহারে নফল রোজা রাখা উত্তম। এ প্রসঙ্গে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হজরত উম্মে সালামা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি হযরত নবী করিমকে (সা.) শাবান ও রমজান ব্যতীত দুই মাস একাধারে রোজা রাখতে দেখিনি।
পবিত্র শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত, অর্থাৎ পনের শাবান রাত হচ্ছে পবিত্র শবেবরাত, ভাগ্য রজনী, এ রাতের অশেষ ফজিলত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বছরের শ্রেষ্ঠ পাঁচটি রজনীর অন্যতম এ রাত। এ রাতের করণীয় সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন: পনের শাবান রাতে (শবেবরাত) তোমরা জেগে থেকে ইবাদত কর এবং পরদিন রোজা রাখ। এ জন্য শবেবরাতে জেগে থেকে ইবাদত করা এবং পরদিন রোজা রাখা উত্তম।
এই পবিত্র মাসে ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্যলাভ করতে হবে। আর ইমাম মাহদীর প্রকৃত সৈনিক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ইমাম মাহদীর যিয়রাতে বলা হয়েছে: السَّلَامُ عَلَیکَ یَا سَبِیلَ اللهِ الَّذِی مَن سَلَکَ غَیرَهُ هَلَک؛ হে আল্লাহর পথ আপনার প্রতি সালাম! যারাই অন্যপথে যাবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে।