IQNA

সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের চূড়ান্ত ধ্বংসের লক্ষ্যে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান একে অপরকে সহযোগিতা করবে

23:38 - September 07, 2018
সংবাদ: 2606648
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা অক্ষুণ্ণ রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান, রাশিয়া ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। আজ (শুক্রবার) তেহরানে সিরিয়া বিষয়ক শীর্ষ বৈঠক শেষে প্রকাশিত বিবৃতিতে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

ত্রিদেশীয় বৈঠকের যৌথ বিবৃতি; সিরিয়ার স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা রক্ষার তাগিদ

বার্তা সংস্থা ইকনা: ১২ ধারার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সামরিক নয়, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করা হবে। রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে সংবিধান সংক্রান্ত কমিটি গঠনে সহযোগিতা করা হবে।
এছাড়া সিরিয়ার সব শরণার্থীকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন ও তাদের শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের ব্যবস্থা করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সমাজ বিশেষকরে জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
একইসঙ্গে মাইন সরানোর কাজ জোরদারের পাশাপাশি সামাজিক, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ঐতিহ্য রক্ষায় আরও সবার সহযোগিতা চেয়েছে ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়া।
সিরিয়া বিষয়ক ত্রিদেশীয় শীর্ষ সম্মেলনে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, সিরিয়া থেকে আমেরিকাকে সরে যেতে হবে। কারণ সিরিয়া সংকটের মূলে রয়েছে আমেরিকা।
রুহানি আরও বলেছেন, যারা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দেয় তাদের লক্ষ্য পূরণ হবে না। তবে ইরান, রাশিয়া ও তুরস্ক অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। আর তাহলো সিরিয়া ও গোটা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এর আগে বৈঠকের শুরুতে বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরেন রুহানি। সে সময় তিনি ছয়টি বিষয়ের ওপর কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিরিয়া সংকট সমাধানের জন্য যেকোনো রাজনৈতিক আলোচনায় অবশ্যই সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতে হবে। সিরিয়ায় বিশেষকরে ইদলিবে সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সমাজের কর্মসূচিতে শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও দেশ পুনর্গঠনে সহযোগিতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। সিরিয়ায় আমেরিকার অবৈধ উপস্থিতি ও হস্তক্ষেপ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কারণ অবৈধ উপস্থিতি ও হস্তক্ষেপ সিরিয়ায় অ-নিরাপত্তা বজায় রেখেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, সিরিয়ার জনগণ ও সরকারের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের তৎপরতা ও দখলদারিত্ব প্রতিদিনই বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সমাজের দায়িত্ব হলো তা মোকাবেলা করা। একইসঙ্গে তিনি সিরিয়া সংকট সমাধানে ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়ার চেষ্টা ও অবদানের সম্মান জানিয়ে দেশটিতে পরিপূর্ণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
২০১১ সালের মার্চ থেকে সিরিয়ায় আমেরিকা ও তার মিত্র দেশগুলোর মদদে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সিরিয়া সরকারের অনুমতি ছাড়াই সেদেশে সেনা মোতায়েন রেখেছে আমেরিকা।

iqna

captcha