বার্তা সংস্থা ইকনা: ২০১৫ সালে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ঐতিহাসিক পরমাণু সমঝোতা সই হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তেহরানের ওপর থেকে এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, গত ৪০ বছর ধরে আমেরিকা এবং ইরানের মধ্যে চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রয়েছে। আমেরিকা তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক এবং অর্থনৈতিক যুদ্ধ চালানোর পাশাপাশি গণমাধ্যমকে ইরানের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। এছাড়া, এ শত্রুর পক্ষ থেকে আরো নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব ষড়যন্ত্র এবং শত্রুতার মাধ্যম আমেরিকা তার স্বেচ্ছাচারীতার যুগের আধিপত্য ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারি নি বরং প্রতি ক্ষেত্রেই চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সর্বোচ্চ নেতা ইরানের ইসলামি বিপ্লবের আগে দেশটির স্বৈরচারী রেজা শাহ যুগের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন যিনি আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
আয়াতুল্লাহিল খামেনেয়ী ১৯৭৯ সালে তেহরানে মার্কিন দূতাবাস দখলের বার্ষিকী পালনের আগে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের সামনে দেয়া এক বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন। সর্বোচ্চ নেতা বলেন, "এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করতে হয় তা হলো ইসলামি বিপ্লবের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মার্কিন পক্ষ চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং ইরানি পক্ষ বিজয়ী হয়েছে। তিনি বলেন, আমেরিকার পরাজয়ের কারন হচ্ছে তারাই প্রথম বিপ্লবের ওপর আক্রমন করা শুরু করে। কিন্তু তারা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে নি।