বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: ডাক্তারদের নতুন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, কয়েক দিন পূর্বে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শেই ইব্রাহিম যাকযাকির রক্তে যে পরিমাণ বিষাক্ত পদার্থ ধারণা করা হয়েছিল, তার থেকে আরও অধিক বিষাক্ত পদার্থ তার রক্তে পাওয়া গিয়েছে।
ডাক্তারের একটি টিম বলেছে: পূর্ববর্তী পরীক্ষার চেয়ে নতুন পরীক্ষায় শেখ যাকযাকির রক্তে ২৫ শতাংশ সীসার মাত্র অধিক রয়েছে। এছাড়াও চিকিৎসকরা পরীক্ষর মাধ্যমে দেখেছে যে, তার শরীরে ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। এই ধাতু বিষক্রিয়ায় তার শরীরের ছয় গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নালী, হাড় ও কিডনিতে ক্ষতি করেছে। বলা হয়েছে যে, শেখ যাকযাকির শরীর থেকে বুলেট বের না করার কারণ, এই বিষাক্ত পদার্থ তার শরীরে ছড়িয়ে পরেছে।
তিন মাস আগে নাইজেরিয়ায় শেখ যাকযাকি ও তার স্ত্রীর শারীরিক চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল টিম নিয়োগ দেয়া হয়। তারের নতুন টেস্টের রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়াও চেলসি মেডিক্যাল সেন্টারের ডাঃ সোহিল হাসানের অপর এক পরীক্ষায় দেখা যায় যে শেখ যাকযাকির পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD) কারণে তাকে দ্রুত চিকিৎসা দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে এবং এই চিকিৎসার জন্য তাকে জেলখানা থেকে বাহিরে আনতে হবে।
২০১৫ সালে নাইজেরিয়ার ইসলামী আন্দোলনের নেতা শেখ ইব্রাহিম যাকযাকির বাসভবনে হামলা চালিয়ে তাকে আহত অবস্থায় আটক করে দেশটির সেনাবাহিনী। এ সময় তার স্ত্রীকে তারা সঙ্গে করে নিয়ে যায়। ওই সময় সেনাবাহিনীর হামলায় শেখ যাকযাকির দুই ছেলেসহ শত শত সমর্থক গুলিতে শহীদ হন। iqna